Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ইউনিয়ন সম্পর্কিত

 

১. সংক্ষিপ্ত বিবরন: আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নাম আমদিয়া গ্রামের নামেই রাখা হয়েছে। এই এলাকা হিন্দুদের শাসনে চলত। বৃটিশ শাসনামলে এই এলাকার হিন্দুদের কথায়ই সব কিছু হত।ইউনিয়ন বোর্ড/ইউনিয়ন কাউন্সিল গঠনের পূর্বে হিন্দুরা আমদিয়া গ্রামের নামেই এই ইউনিয়নের নাম করন করার কথা বললে এই সিদ্ধান্তই্ কার্যকর হয়। এই এলাকায় ভৌগলিক অবস্থা সমলত । মাঝে মাঝে কিছু নিচু ভূমি ও চুখে পড়ে। সাধারণত: কৃষি কাজই এই এলাকার প্রধান কাজ । তার পরই আছে তাত শিল্প । এলাকার মানুষের পুকুর করার ও একটা শখ আছে । প্রায় তিন শত পুকুর আছে এই ইউনিয়নে। এই সকল পুকুরে আছে পাঙ্গাস , রুই , কাতলা ,মৃগেল ,কৈ ইত্যাদি ।কৃষি পণ্যের মধ্যে ধানই প্রধান। তার পর কিছু কিছূ সবজি ও উৎপাদিত হয়।

 

 

২. ভাষা : আমদিয়া ইউনিয়নের জনগনের ভাষা বাংলা ।মিশ্রিত বাংলা আঞ্চলিক ভাষা। কথা বলার সময় বাক্যের শেষে একটা লম্বা টান বের হয়ে আসে।সংস্কৃত ভাষা , ফরাসি ভাষা আর ইংলিশ ভাষা হতে কিছু কিছু শব্দ এখানকার মানুষের বাংলা ভাষায় আছে।

 

 

৩. সংস্কৃতি: এই এলাকার মানুষ ধর্ম প্রিয় । অধিকাংশ জনগনই মুসলিম ।প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান।খেলাধুলার মাঝে রয়েছে ফুটবল , হা-ডু-ডু , ক্রিকেট বাংলার ঐতিহ্যবাহী পুরাতন কিছু কিছু খেলা ও এই এলাকার মধ্যে প্রচলিত আছে।গান বাজনা ও এই এলাকার মানুষের একটি প্রিয় বিষয়।তাঁত শিল্প এলাকার একটা বিশাল ঐতিহ্য।বিখ্যাত গ্রামীন চেকের কাপর যেমন থ্রী পিছ , বিছানার চাদর, শাড়ী কাপড় , বিভিন্ন পর্দার কাপড় , গামছা ইত্যাদি এই এলাকায় উৎপাদিত হয়।

 

৪. অর্থনৈতিক অবস্থা: আমদিয়া ইউনিয়নের মানুষ কর্মমুখী। বেশীর ভাগ মানুষ কাজে লিপ্ত। কেউ কৃষি , কেউ মিল শ্রমিক, কেউ তাঁত শ্রমিক , কেউ অটোরিকসা ড্রাইভার, কেউ সিএসজি চালক, কেউ মৎস চাষী, কেউ বা আবার ছাত্র, কেউ বা দোকানের কর্মচারী/মালিক, ব্যাবসায়ী, কাপড়ের ব্যাবসায়ী হাঁস-মুরগীর খামারের মালিক,, গাভীর খামারেরে মালিক । খুব কম লোকই আছে যারা বেকার আছে। বেকারের সংখ্যা খুব কম। সবাই কাজ পছন্দ করে। এই ইউনিয়নে মাদকাসক্ত কম , ইভটিজিং কম, বাল্য বিবাহ আছে তবে কম গোপনে বিবাহ দেয়।

 

৫. স্যানিটেশন:  স্যানিটেশন অবস্থা খুবই ভাল । প্রায় ৯০ ভাগ লোক ল্যাট্রিন ব্যাবহার করে এবং সাবান ব্যবহার করে । বাড়ী-ঘর পরিস্কার -পরিচ্ছন্ন রাখে। বাড়ীর আশ- পাশ পরিষ্কার রাখে।

 

৬. সচেতনতা : মানুষজন মোটামুটি অনেক সচেতন। জন্ম হলেই জন্ম নিবন্ধন করাতে আসে।মৃত্যু হলে মৃত্যু রেজিষ্ট্রেশন করাতে আসে। মানুষজন নিজেরাই ইউনিয়ন অফিসে এসে ইউপি কর প্রদান করে। কর দিতে মানুষের মনে কোন পিছুটান নেই। মানুষ কর বিষয়ে খুবই উৎসাহী।

 

৭. ঘর-বাড়ী : এখানকার বাড়ী ঘর বিশেষ করে মাটির নির্মিত ঘরই এই এলাকার ঐতিহ্য। মাটির ঘরের সিলিং খুবই সুন্দর । সিলিং এর উপর বসবাস ও করা যায় বা সিলিং এর উপর নানাহ জিনিস পত্র রাখার ব্যাবস্থা করা হয়। তা ছাড়া ইদানিং বহু বাড়ী ইটের নির্মিত হাফ দালান বা টিনের চাল বিশিষ্ট । বিভিন্ন বাড়ীর সামনে ফুল বাগান , পুকুর ইত্যাদি ভাবে বাড়ীর সৌন্দর্য্য রক্ষার জন্য নির্মান করা হয়।