| ||||||||||||||||||
[৯ মে ২০০৬] | ||||||||||||||||||
গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ | ||||||||||||||||||
দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের এখতিয়ারাধীন এলাকায় কতিপয় বিরোধ ও বিবাদের সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গ্রাম আদালত গঠনকল্পে প্রণীত আইন | ||||||||||||||||||
যেহেতু দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের এখতিয়ারাধীন এলাকায় কতিপয় বিরোধ ও বিবাদের সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গ্রাম আদালত গঠন এবং এতদ্সংক্রান্ত বিষয়াবলী সম্পর্কে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; | ||||||||||||||||||
সূচী | ||||||||||||||||||
ধারাসমূহ | ||||||||||||||||||
১৷ সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন ও প্রয়োগ | ||||||||||||||||||
২৷ সংজ্ঞা | ||||||||||||||||||
৩৷ গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য মামলা | ||||||||||||||||||
৪৷ গ্রাম আদালত গঠনের আবেদন | ||||||||||||||||||
৫৷ গ্রাম আদালত গঠন, ইত্যাদি | ||||||||||||||||||
৬৷ গ্রাম আদালতের এখতিয়ার, ইত্যাদি | ||||||||||||||||||
৬ক। মামলা দায়েরের সময়সীমা | ||||||||||||||||||
৬খ। প্রাক বিচার | ||||||||||||||||||
৬গ। মামলা নিষ্পত্তির সময়সীমা | ||||||||||||||||||
৭৷ গ্রাম আদালতের ক্ষমতা | ||||||||||||||||||
৮৷ গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়া ও আপিল | ||||||||||||||||||
৯৷ গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত কার্যকরকরণ | ||||||||||||||||||
৯ক। মিথ্যা মামলা দায়েরের জরিমানা | ||||||||||||||||||
১০৷ সাক্ষীকে সমন দেওয়া, ইত্যাদির ক্ষেত্রে গ্রাম আদালতের ক্ষমতা | ||||||||||||||||||
১১৷ গ্রাম আদালতের অবমাননা | ||||||||||||||||||
১২৷ জরিমানা আদায় | ||||||||||||||||||
১৩৷ পদ্ধতি | ||||||||||||||||||
১৪৷ আইনজীবী নিয়োগ নিষিদ্ধ | ||||||||||||||||||
১৫৷ সরকারী কর্মচারী, পর্দানশীল বৃদ্ধ মহিলা এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তির পক্ষে প্রতিনিধিত্ব | ||||||||||||||||||
১৬৷ কতিপয় মামলার স্থানান্তর | ||||||||||||||||||
১৭৷ পুলিশ কর্তৃক তদন্ত | ||||||||||||||||||
১৮৷ বিচারাধীন মামলাসমূহ | ||||||||||||||||||
১৯৷ অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা | ||||||||||||||||||
২০৷ বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা | ||||||||||||||||||
২১৷ রহিতকরণ ও হেফাজত |
৩৷ (১) ফৌজদারী কার্যবিধি এবং দেওয়ানী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত বিষয়াবলী সম্পর্কিত ফৌজদারী মামলা এবং দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত বিষয়াবলী সম্পর্কিত দেওয়ানী মামলা, অতঃপর ভিন্ন রকম বিধান না থাকিলে, গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য হইবে এবং কোন ফৌজদারী বা দেওয়ানী আদালতের অনুরূপ কোন মামলা বা মোকদ্দমার বিচার করিবার এখতিয়ার থাকিবে না৷ (২) ১[ গ্রাম আদালতে তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত কোন ফৌজদারী মামলা বিচার্য হইবে না যদি উক্ত মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি পূর্বে কোন সময়ে গ্রাম আদালত বা আমলযোগ্য অপরাধে অন্য কোন আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হইয়া থাকেন], অথবা তফসিলের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত বিষয়াবলীর সহিত সম্পর্কিত কোন মামলাও গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে না, যদি- (ক) উক্ত মামলায় কোন নাবালকের স্বার্থ জড়িত থাকে; (খ) বিবাদের পক্ষগণের মধ্যে সম্পাদিত কোন চুক্তিতে সালিশের বা বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান থাকে; (গ) সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা কর্তব্য পালনরত কোন সরকারী কর্মচারী উক্ত বিবাদের কোন পক্ষ হয়৷ (৩) যে স্থাবর সম্পত্তির দখল অর্পন করিবার জন্য গ্রাম আদালত কর্তৃক আদেশ প্রদান করা হইয়াছে, ঐ স্থাবর সম্পত্তিতে স্বত্ব প্রতিষ্ঠা করিবার জন্য বা উহার দখল পুনরুদ্ধারের জন্য কোন মোকদ্দমা বা কার্যধারার ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে না৷ | ||||
৬৷ (১) যে ইউনিয়নে অপরাধ সংঘটিত হইবে বা মামলার কারণ উদ্ভব হইবে, বিবাদের পক্ষগণ সাধারণতঃ সেই ইউনিয়নের বাসিন্দা হইলে, উপ-ধারা (২) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, গ্রাম আদালত গঠিত হইবে এবং উক্তরূপ মামলার বিচার করিবার এখতিয়ার সংশ্লিষ্ট গ্রাম আদালতের থাকিবে৷
(২) যে ইউনিয়নে অপরাধ সংঘটিত হইবে বা মামলার কারণ উদ্ভব হইবে, বিবাদের একপক্ষ সেই ইউনিয়নের বাসিন্দা হইলে এবং অপরপক্ষ ভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা হইলে, যে ইউনিয়নের মধ্যে অপরাধ সংঘটিত হইবে বা মামলার কারণ উদ্ভব হইবে, সেই ইউনিয়নে গ্রাম আদালত গঠিত হইবে; তবে পক্ষগণ ইচ্ছা করিলে নিজ ইউনিয়ন হইতে প্রতিনিধি মনোনীত করিতে পারিবে৷
১[ ৯ক। (১) যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অধীন মামলা করিবার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ নাই জানিয়াও মামলা দায়ের করেন বা করান, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তিকে অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা জরিমানা করা যাইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আরোপিত জরিমানার টাকা মিথ্যা মামলা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উহা ধারা ৯ এর উপ-ধারা (৩) এর বিধান অনুসারে আদায়যোগ্য হইবে।] | ||||
১০৷ (১) গ্রাম আদালত যে কোন ব্যক্তিকে আদালতে হাজির হইতে এবং সাক্ষী দেওয়ার জন্য অথবা কোন দলিল দাখিল করিবার বা করাইবার জন্য সমন দিতে পারিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে-
(ক) দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা ১৩৩ এর উপ-ধারা (১) এ যে ব্যক্তিকে স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হইতে অব্যাহতি দেওয়া হইয়াছে তাহাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হইতে নির্দেশ দেওয়া যাইবে না;
(খ) গ্রাম আদালত যদি যুক্তিসংগতভাবে মনে করে যে, অহেতুক বিলম্ব, খরচ বা অসুবিধা ব্যতীত কোন সাক্ষীকে হাজির করা সম্ভব নয়, তবে আদালত সেই সাক্ষীকে সমন দিতে বা সেই সাক্ষীর বিরুদ্ধে প্রদত্ত সমন কার্যকর করিতে অগ্রাহ্য করিতে পারিবে;
(গ) গ্রাম আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত এলাকায় বসবাসকারী কোন ব্যক্তির ভ্রমণ ও অন্যান্য খরচ নির্বাহ বাবদ, আদালতের বিবেচনামতে, পর্যাপ্ত অর্থ তাহাকে প্রদানের জন্য আদালতে জমা দেওযা না হইলে, গ্রাম আদালত ঐ ব্যক্তিকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য অথবা কোন দলিল দাখিল করিবার বা করাইবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিবে না;
(ঘ) গ্রাম আদালত রাষ্ট্রীয় বিষয়াবলী সম্পর্কিত কোন গোপনীয় দলিল বা অপ্রকাশিত সরকারী রেকর্ড দাখিল করিবার জন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিবে না বা সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত অনুরূপ গোপনীয় দলিল বা অপ্রকাশিত সরকারী রেকর্ড হইতে আহরিত কোন সাক্ষ্য প্রদানের জন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করিবে না৷
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীনে জারীকৃত সমন ইচ্ছাপূর্বক অমান্য করিলে, গ্রাম আদালত অনুরূপ অমান্যতা আমলযোগ্য অপরাধ গণ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে, তাঁহার বক্তব্য পেশের সুযোগ প্রদান সাপেক্ষে, অনধিক ১[ ১(এক) হাজার] টাকা জরিমানা করিতে পারিবে৷
(৫) গ্রাম আদালত উপযুক্ত মনে করিলে তত্কর্তৃক নির্ধারিত কিস্তিতে ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের নির্দেশ দিতে পারিবে৷
২০৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷ | ||||
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস