আমদিয়া ইউনিয়নের প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব
২. রত্ন গর্ভা মায়ের পরেই যার নাম আসে তিনি হলেন একজন সফল পিতা , একজন সফল সরকারী নীতিবান অফিসার , যিনি একজন সরকারের ডিপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন। তিনি ছিলেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত। তিনি আর কেহ নন তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবি অধ্যাপক জনাব মো: গিয়াস উদ্দিন, ডাক্তার মো: আব্দুর রশিদ, নাসির উদ্দিন আহমদ,হামিদা বানু , সাজেদা বানু আর ফরিদা বানুর পিতা জনাব আবদুল গফুর । তিনি ১৯১৯ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে পদার্থ বিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। সফল পিতা আর রত্ন গর্ভা মায়ের অসীম স্নেহ আর মমতায় গড়ে তুলেছেন আটটি রত্ন । এই সফল বাবা ই আমাদের ২য় গর্ব।
৩. নাম: শহীদ বুদ্ধিজীবি অধ্যাপক জনাব মো: গিয়াস উদ্দিন, পিতার নাম: আব্দুল গফুর ,মাতার নাম: রত্ন গর্ভা বেগম শামসুন্নাহার ,গ্রাম: বেলাব , ডাকঘর: ডেপুটিবাড়ী , উপজেলা: নরসিংদী সদর, জেলা: নরসিংদী।
পেশা: পেশার তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক ।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
তাঁর পিতার পেশা: তাঁর পিতা ছিলেন একজন ডিপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট । তার নামেই গ্রামের বাড়ীটির নাম হয় ডিপুটি বাড়ী। এই বাড়ীতেই ডাকঘর নির্মিত হয় বর্তমানেও এই ডাকঘর চলছে।ডাকঘরটির নাম ও বলা হয় ডিপুটিবাড়ী।
তাঁর মাতা ছিলেন হিসেবী গৃহিনী।রত্ন গর্ভা মাতা ।তার আরেক সন্তান পৃথিবীর মধ্যে একজন সেরা ডাক্তার বাংলাদেশেতো বটেই। তার নাম ডা: আবদুর রশিদ ।তাঁর কথায় আমরা পরে আসছি।অধ্যাপক জনাব মো: সিয়াস উদ্দিন ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান আমলেই একজন বুদ্ধিজীবি । একাত্তুরে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার আলবদর বাহিনীর সদস্যরা উনাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে রায়ের বাজার বদ্ধ ভূমিতে নির্মম ভাবে হত্যা করে শহীদ করেন।
তিনি ১১ ই সেপ্টেম্বর ১৯৩৩ সালে পশ্চিম বাংলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে নাই।তাই তিনি ছিলেন অবিবাহিত।
৪. শহীদ বুদ্ধিজীবি অধ্যাপক জনাব মো: গিয়াস উদ্দিন এর এক ভাই নাম: ডাক্তার মো: আব্দুর রশিদ ।তিনি এম বি বি এস , এফ আর সি এস ডিগ্রী গ্রহন করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা ম্যাট্রোপলিটন হাসাপাতালে নিউরোলজিষ্ট বিভাগে কর্মরত আছেন।তিনি বাংলাদেরই বিখ্যাত ডাক্তার নন সারা বিশ্বে তার মত নিউরোলজিষ্ট আর খুজেঁ পাওয়া ভার । তিনি আমাদের নরসিংদীর তো গর্বই তথাপি বাংলাদেশের ও গর্ভ।
৫. নাসির উদ্দিন আহমদ : তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবি অধ্যাপক জনাব মো: গিয়াস উদ্দিন আহমদ এর আরেক ভাই ।তিনিই সবার বড় ভাই। তিনি বাংলাদেশ ডাকবিভাগের মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি ও উচ্চ শিক্ষিত ছিলেন। এই নাসির উদ্দিন আহাম্মদ শুধু মাত্র উচ্চ পদস্থ চাকুরিই করতেন না তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক মানের টেনিস খেলোয়ার।
৬. হামিদা বানু : তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবি অধ্যাপক জনাব মো: গিয়াস উদ্দিন এর আপন বোন । তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞানে অধ্যাপিকা হিসাবে নিয়োজিত আছেন।
৭. সাজেদা বানু : তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবি অধ্যাপক জনাব মো: গিয়াস উদ্দিন এর আরেক বোন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গনিত বিভাগের অধ্যাপিকা ।
৮. ফরিদা বানু : তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবি অধ্যাপক জনাব মো: গিয়াস উদ্দিন এর আরেক বোন ।তিনি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গনিত বিভাগের অধ্যাপিকা । শহীদ বুদ্ধিজীবি অধ্যাপক জনাব মো: গিয়াস উদ্দিন এর স্মৃতিকে অম্লান আর ইতিহাস কে স্মরন রাখার জন্য তারই নামে সকলে মিলে বেলাব গ্রামেই গড়ে তোলা হয়েছে একটি হাই স্কুল ।স্কুলের নাম দেয়া হয়েছে শহিদ গিয়াস উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়।
৯. জনাব অধ্যক্ষ মো: নাজির উদ্দিন আহাম্মদ , পিতা মৃত আব্বাছ উদ্দিন আহাম্মদ , গ্রাম: পাইকারদি , পো: আমদিয়া , উপজেলা ও জেলা: নরসিংদী।তিনি ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ । তিনি প্রাথমিক ও গন শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ছিলেন। তিনি শুধু অধ্যক্ষ আর প্রাথমিক ও গন শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালকই নন তিনি একজন লিখক ও ।তিনি বুক কিপিং বই লিখেছেন।তিনি একজন গর্বীত পিতাও বটে।তার একটি সন্তান বিখ্যাত ব্যাক্তিত্ব। তাঁর মেয়েটি বর্তমানে একজন পরিবেশবিদ। বিভিন্ন টিভি চেনেলে তাকেও টকশো করতে হয়। তাঁর মেযের জামাই জনাব মো: হেলাল উদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক । তিনি আমাদের গর্ব।
১০. ভূইয়মের অধিবাসী জনাব মো: ফজলুল হামিদ ছিলেন আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ।তিনি বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি নির্মান করেন। সমাজে তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি ও অত্র এলাকার মানুষের গর্ব্।
১১. চানগাও নিবাসী অধ্যাপক জনাব মো: ফজলুর রহমান ,পিতা মৃত তাইজ উদ্দিন ছিলেন এই আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আরেকজন সফল চেয়ারম্যান । তিনি ও বহু সমাজ সেবা মূলক কাজ করে নিজেকে এলাকার মানুষের মধ্যে গর্ব হয়ে আছেন।
১২. আখালিয়া নিবাসী জনাব মো: আবুল হাশেম , জনতা ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তিনি বর্তমানে একটি কলেজ এই আখালিয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত করেছেন । কলেজটির নাম তার স্ত্রী ফরিদা বেগমের নামে রেখেছেন ফরিদা হাশেম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ। কলেজটি অত্র এলাকায় অত্যন্ত সুনাম অর্জন করে চলেছে।
ঢাক বিশ্ববিদ্যালয় এর ইতিহাস বিভাগ হতে শহীদ বুদ্ধিজীবি অধ্যাপক জনাব মো: গিয়াস উদ্দিন সহ আরো কয়েকজন শহীদের জীবনি নিয়ে একটি ৭১ এর শহীদ জীবন নামে একটি বই লিখা আছে। ইচ্ছে করলে আপনিও পড়তে পারেন বইটি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস