Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

মামলার রায়

পূর্ববর্তী মামলার দুটি রায়

 

মামলা নং

শুনানী তারিখ

বিবরণ

রায়/সিদ্ধান্ত

০৪

২৪/০৭/১৪ইং

০২/০৮/১৪ইং

০৯/০৮/১৪ইং

১৬/০৮/১৪ইং

রায়ের তারিখ

২৫/০৮/১৪ইং

বাদী-জুয়েল, পিতা- মৃত  আসাদ  মিয়া, কান্দাইল।

বিবাদী- পারভিন বেগম, স্বামী- জুয়েল মিয়া, পিতা- রাজু আহমদ,  বনাইদ।

অভাব থাকার কারণে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। যা গ্রাম পুলিশের প্রতিবেদন, সংশ্লিষ্ট মেম্বারের জবানবন্দিতে বাদী ও বিবাদী উভয়েই  দোষী প্রমানিত হয়।

উভয়ের দোষ প্রমানীত হওয়ায় ও তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে উভয়কে সংশোধন করার জন্য তালাক আবেদন বাতিল ও পারিবারিক সমঝোতায় থাকতে বলা হয়।

০৫

২৭/০৭১৪

 

০৯/০৮/১৪ইং

১৫/০৮/১৪ইং

২৩/০৮/১৪ইং

রায়ের তারিখ

    ২৩/০৮/১৪ইং

বাদী-  রাজীব মিয়া, পিতা- আলাল মিয়া,গ্রাম: পাকুরিয়া।

বিবাদী- আঃ মতিন গং, পিতা- সফিক মিয়া  ,মাথরা, নরসিংদী।

জমি জবর দখল বিষয়ে মারা মারি হয়। বাদীর আর্জি সত্য কিন্তু বিবাদীর দাবী ও আংশিক সত্য কিন্তু যেহেতু  বাদীর আর্থিক ক্ষতি হবে। তাই বাদীকে তার যে আংশ নিয়ে বিবাদ সৃষি্ট হয়েছে সে আংশ ক্রয় করে রাখতে ইচ্ছুক ।তাই দুইপক্ষই এই মিমাংশায় সম্মত।

বিবাদী আর বাদী উভয়ই সম্মিলিত ভাবে একটি মিমাংশার রাজী তাই দুই পক্ষকে মিমাংশার জন্য বলা হল গ্রাম আদালতের সামনে উভয় পক্ষই মিমাংশায় রাজী হলে দুই পক্ষতে একটিসিদ্ধান্ত দেয়া হয় ।বাদী বিবাদীকে এক শতাংশ ভূমির বদলে ৫০,০০০/-পঞ্চাশ হাজার টাকা দলিলের দ্বারা পরিশোধ করে দিবে।
    

 

গ্রাম আদালতের রায় প্রসংগে বিধিমালা নিম্নে দেয়া হল:

৬গ। (১) ধারা ৬খ এর অধীন কোন মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হইলে, গ্রাম আদালত ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে মামলাটির শুনানীর কার্যক্রম শুরু করিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, শুনানীর কার্যক্রম শুরু করিবার পূর্বে মামলার কোন পক্ষ, চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে, যুক্তিসঙ্গত কারণ প্রদর্শন করিয়া, তৎকর্তৃক ইতোপূর্বে মনোনীত কোন সদস্যকে পরিবর্তন করিয়া অন্য কোন সদস্য মনোনয়ন করিতে পারিবেন।

(২) উপ-ধারা (২) এর অধীন শুনানীর কার্যক্রম শুরু হইবার অনধিক ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করিতে হইবে;

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত সময়সীমার মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হইলে, গ্রাম আদালত কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করিবে।

(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হইলে, উক্ত মেয়াদ শেষে গ্রাম আদালত স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাঙ্গিয়া যাইবে।

(৪) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার অধীন নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ ব্যতিরেকে গ্রাম আদালত মামলা নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হইলে এবং গ্রাম আদালত ভাঙ্গিয়া গেলে সংক্ষুব্ধ পক্ষ গ্রাম আদালত ভাঙ্গিয়া যাইবার ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবেন।]
৭৷ (১) এই আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান না থাকিলে, গ্রাম আদালত তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত অপরাধসমূহের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিকে কেবলমাত্র অনধিক [ ৭৫ (পঁচাত্তর)] হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷

(২) গ্রাম আদালত তফসিলের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত বিষয়াবলীর সহিত সম্পর্কিত কোন মামলায় অনুরূপ বিষয়ে তফসিলে উল্লিখিত পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করিতে বা সম্পত্তির প্রকৃত মালিককে সম্পত্তি বা উহার দখল প্রত্যার্পণ করিবরা জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
৮৷ (১) গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত বা চার-এক (৪:১) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বা চারজন সদস্যের উপস্থিতিতে তিন-এক (৩:১) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হইলে উক্ত সিদ্ধান্ত পক্ষগণের উপর বাধ্যকর হইবে এবং এই আইনের বিধান অনুযায়ী কার্যকর হইবে৷

(২) গ্রাম আদালাতের সিদ্ধান্ত তিন-দুই (৩:২) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হইলে, সংক্ষুব্ধ পক্ষ, উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ত্রিশদিনের মধ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে-

(ক) মামলাটি তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত কোন অপরাধের সহিত সম্পর্কিত হইলে, এখতিয়ারসম্পন্ন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপীল করিতে পারিবে; এবং

(খ) মামলাটি তফসিলের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত বিষয়াবলীর সহিত সম্পর্কিত হইলে, এখতিয়ারসম্পন্ন সহকারী জজ আদালতে আপীল করিতে পারিবে৷

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আপীলের ক্ষেত্রে, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা সহকারী জজ আদালতরে নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, বিবেচ্য ক্ষেত্রে গ্রাম আদালত সুবিচার করিতে ব্যর্থ হইয়াছে, তাহা হইলে, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা সহকারী জজ আদালত গ্রাম আদালতের উক্ত সিদ্ধান্ত বাতিল বা পরিবর্তন করিতে পারিবে অথবা পুনর্বিবেচনার জন্য মামলাটি গ্রাম আদালতের নিকট ফেরত পাঠাইতে পারিবে৷

(৪) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী অনুযায়ী গ্রাম আদালত কর্তৃক কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে উহা অন্য গ্রাম আদালতসহ অন্য কোন আদালতে বিচার্য হইবে না৷
৯৷ (১) গ্রাম আদালত কোন ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য অথবা সম্পত্তি বা উহার দখল প্রত্যার্পণ করিবার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলে, উক্ত বিষয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আদেশ প্রদান করিবে এবং তাহা নির্দিষ্ট রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিবে৷

(২) গ্রাম আদালতের উপস্থিতিতে উহার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাবী মিটানো বাবদ কোন অর্থ প্রদান করা হইলে অথবা কোন সম্পত্তি অর্পণ করা হইলে গ্রাম আদালত, ক্ষেত্রমত, উক্ত অর্থ প্রদন বা সম্পত্তি অর্পণ সংক্রান্ত তথ্য উহার রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করিবে৷

(৩) যেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য গ্রাম আদালত কর্তৃক আদেশ প্রদান করা হয় এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্ত অর্থ প্রদান করা না হয়, সেইক্ষেত্রে চেয়ারম্যান উহা ইউনিয়ন পরিষদের বকেয়া কর আদায়ের পদ্ধতিতে [ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬১ নং আইন)] এর অধীনে আদায় করিয়া ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে প্রদান করিবে৷

(৪) যেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ প্রদান না করিয়া অন্য কোন প্রকারে দাবী মিটান সম্ভব, সেইক্ষেত্রে উক্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর করিবার জন্য বিষয়াটি এখতিয়ারসম্পন্ন্ন সহকারী জজ আদালতে উপস্থাপন করিতে হইবে এবং অনুরূপ আদালত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করিবার জন্য এইরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে যেন ঐ আদালত কর্তৃকই উক্ত সিদ্ধান্ত প্রদান করা হইয়াছে৷
 
[ ৯ক। (১) যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অধীন মামলা করিবার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ নাই জানিয়াও মামলা দায়ের করেন বা করান, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তিকে অনধিক ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা জরিমানা করা যাইবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আরোপিত জরিমানার টাকা মিথ্যা মামলা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উহা ধারা ৯ এর উপ-ধারা (৩) এর বিধান অনুসারে আদায়যোগ্য হইবে।]