Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

স্বাস্থ্য সেবা কর্মসূচী

 

ইপিআই কর্মসূচীঃ

· কর্মসূচীর নামঃ সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচী

· কর্মসূচী বাসত্মবায়নকারীঃ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা এবং তাহার আওতাধীন সকল স্বাস্থ্য কর্মী।

· অর্থায়ন ও অন্যান্য সহায়তাকারীঃ স্বাস্থ্য ও পঃ কঃ মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ।

-লক্ষ্য ও পদ্ধতিঃ শিশুদের ০৮টি রোগের বিরম্নদ্ধে প্রতিরোধ টিকা প্রদান ও ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর মাধ্যমে রাতকানা রোগ  ও অপুষ্টি প্রতিরোধ।  মায়েদের কে টিটি টিকার মাধ্যমে মা এবং নবজাতক শিশুর টিটেনাস প্রতিরোধ ব্যবস্থা। মায়েদের-কে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে মায়েদের এবং নবজাতক শিশুদের ভিটামিন এ এর ঘাটতি পুরন। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, শিশু ভোগামিত্ম এবং মৃত্যুহার কমানো।
· আওতাভুক্ত সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠীঃ ১৫-৪৯ বৎসরের সকল মহিলা এবং ০- ৬০মাস  বয়সী সকল শিশু।

ই ও সি কর্মসূচীঃ

· কর্মসূচীর নাম ঃ  প্রসুতি সেবা

· কর্মসূচী বাস্তবায়নকারী ঃ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা  এবং ই ও সি অমত্মর্ভুক্ত হাসপাতালসমূহের ডাক্তার ও নার্স।

· অর্থায়ন ও অন্যান্য সহায়তাকারী - স্বাস্থ্য ও পঃ কঃ মন্ত্রণালয়, ইউনিসেফ ।

· লক্ষ্য ও পদ্ধতি - নিরাপদ মাতৃত্ব ,বিপদ মুক্ত ডেলিভারী এবং শিশু ও মাতৃ মৃত্যু হার কমানো।

· আওতাভুক্ত সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠী - সকল গর্ভবতী মা।

এ আর আই কর্মসূচীঃ

· কর্মসূচীর নাম - এ আর আই।

· কর্মসূচী বাস্তবায়নকারী ঃ তত্বাবধায়ক/ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তাসহ প্রতিষ্ঠানের সকল ডাক্তার,

চিকিৎসা সহকারী, ফার্মাসিষ্ট, নার্স ।

· অর্থায়ন ও অন্যান্য সহায়তাকারী - স্বাস্থ্য ও পঃ কঃ মন্ত্রণালয়, ইউনিসেফ ।

· লক্ষ্যও পদ্ধতি - শিশুদের নিউমোনিয়া এবং শ্বাসনালী প্রদাহ জনিত রোগের চিকিৎসা এবং প্রকোপ কমানো।

· আওতাভুক্ত সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠী ঃ সকল শিশু।

 

 

স্বাস্থ্য সেবায় নিম্ন বর্নিত জরুরী তথ্য :-

 

প্রতিদিন একটি আমলকীর ২০টি উপকারিতা

আমলকী হল আমাদের দেহের জন্য সবচাইতে উপকারি ভেষজের মাঝে একটি। এটি আপনি প্রতিদিনই খেতে পারেন এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বরং আছে দারুণ সব উপকার। প্রতিদিন এক গাদা ভিটামিন ট্যাবলেট না খেয়ে খান একটি করে আমলকী। কিংবা আমলকীর আচার। খেতে পারেন আমলকীর মোরব্বা কিংবা আমলকীর পাউডার ব্যবহার করতে পারেন রান্নায়। এই সামান্য আমলকী আপনার দেহের করবে বিস্ময়কর সব উপহার। কীভাবে জানতে চান? আসুন জানি প্রতিদিন একটি আমলকী খাওয়ার ২০টি উপকারিতা সম্পর্কে।
১)আমলকী চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
২)এটি চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।
৩)আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।
৪)এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু'বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।
৫)আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার হজমে সাহায্য করে।
৬)প্রতিদিন সকালে আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
৭)আমলকীর রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ। চোখ চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়।
৮)আমলকী চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৯)এছাড়াও প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে।
১০) আমলকীর টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।
১১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়।
১২) কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকী অনেক উপকারী।
১৩) ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারী।
১৪) শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে।
১৫) এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকীর আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে।
১৬) শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।
১৭) লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।
১৮) এর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র‌্যাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র‌্যাডিকালস।
১৯) সর্দি-কাশি, পেটের পীড়া ও রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভালো কাজ করে।
২০) ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।

Photo: প্রতিদিন একটি আমলকীর ২০টি উপকারিতা</p />
<p>আমলকী হল আমাদের দেহের জন্য সবচাইতে উপকারি ভেষজের মাঝে একটি। এটি আপনি প্রতিদিনই খেতে পারেন এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বরং আছে দারুণ সব উপকার। প্রতিদিন এক গাদা ভিটামিন ট্যাবলেট না খেয়ে খান একটি করে আমলকী। কিংবা আমলকীর আচার। খেতে পারেন আমলকীর মোরব্বা কিংবা আমলকীর পাউডার ব্যবহার করতে পারেন রান্নায়। এই সামান্য আমলকী আপনার দেহের করবে বিস্ময়কর সব উপহার। কীভাবে জানতে চান? আসুন জানি প্রতিদিন একটি আমলকী খাওয়ার ২০টি উপকারিতা সম্পর্কে।<br />
১)আমলকী চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।<br />
২)এটি চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।<br />
৩)আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।<br />
৪)এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু'বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।<br />
৫)আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার হজমে সাহায্য করে।<br />
৬)প্রতিদিন সকালে আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।<br />
৭)আমলকীর রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ। চোখ চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়।<br />
৮)আমলকী চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।<br />
৯)এছাড়াও প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে।<br />
১০) আমলকীর টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।<br />
১১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়।<br />
১২) কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকী অনেক উপকারী।<br />
১৩) ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারী।<br />
১৪) শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে।<br />
১৫) এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকীর আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে।<br />
১৬) শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।<br />
১৭) লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।<br />
১৮) এর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র‌্যাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র‌্যাডিকালস।<br />
১৯) সর্দি-কাশি, পেটের পীড়া ও রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভালো কাজ করে।<br />
২০) ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।

গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়ের যত্ন

কথায় বলে ‘শিশুর হাসিতে মায়ের খুশি’। আর এই হাসি দেখতে হলে মাকে গর্ভকাল থেকেই থাকতে হবে হাসিখুশি ও দুশ্চিন্তামুক্ত। গর্ভবতী মাকে নিয়মিত ঘুম ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। সর্বোপরি সুস্থ শিশুলাভের জন্য গর্ভবতী মায়ের পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা প্রয়োজন। পরিবারের সবারই গর্ভবতী মাকে এ ব্যাপারে সাহায্য ও সহযোগিতা করা উচিত।
গর্ভবতী মায়ের নিজের প্রয়োজনীয় খাবার খাওয়ার পাশাপাশি গর্ভস্থ শিশুর জন্য বাড়তি খাদ্যের প্রয়োজন হয়। তাই গর্ভবতী মা ও তার অনাগত শিশুর সুস্থ জীবনের জন্য গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও দারিদ্র্যের কারণে আমাদের দেশের অনেক গর্ভবতী মা প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করেন না। মায়ের অপুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ শুধু তার জন্যই ক্ষতিকর নয়, ভ্রুণ এবং নবজাত শিশুর জন্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিকর। গর্ভাবস্থায় মা পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করার কারণে শিশু ও গর্ভবতী মা উভয়ই অপুষ্টিতে ভোগেন।
আর মা যদি গর্ভাবস্থায় অপুষ্টিতে ভোগেন তাহলে যে শিশু জন্মগ্রহণ করবে তার জন্ম-ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হবে, শিশু জন্মগতভাবেই অপুষ্টি নিয়ে জন্মগ্রহণ করবে। এ ধরনের শিশুর মৃত্যুঝুঁকিও বেশি থাকে। পক্ষান্তরে গর্ভকালীন সময়ে মা যদি পুষ্টিকর খাদ্য না খান, তাহলে মায়ের স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়বে। এ ধরনের মায়েদের গর্ভপাত, অপরিণত ও মৃতশিশু প্রসব এবং প্রসবকালীন মৃত্যুর ঝুঁকিও বেশি থাকে।
গর্ভবতী মায়েদের প্রতিদিন ভাত, মাছ (মলা, ঢেলা ইত্যাদি ছোট মাছ), সম্ভব হলে মাংস, ডিম, দুধ এবং ঘন ডাল, সিমের বিচি প্রভৃতি খেতে হবে। এছাড়া গাঢ় সবুজ ও হলুদ রঙের শাকসবজি ও তাজা ফলমূল, বিশেষত পাকা আম, পেঁপে, কাঁঠাল, পেয়ারা, আনারস, কচুশাক, পুঁইশাক, ডাঁটাশাক, লালশাক, গাজর, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া এসব ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত। কারণ ভিটামিন ‘এ’ শরীরে আয়রন (লৌহ) ব্যবহারে সাহায্য করে। আমলকি, পেয়ারা, বাতাবিলেবু, কামরাঙা, পাতি লেবু, কাগজী লেবু, কুল ইত্যাদি খেলে সহজেই ভিটামিন ‘সি’-র অভাব পূরণ হবে। শরীরে আয়রন (লৌহ) শোষিত হওয়ার জন্য ভিটামিন ‘সি’ অত্যন্ত জরুরি। গর্ভবতী মায়েদের জন্য ক্যালসিয়ামও গুরুত্বপূর্ণ।
ক্যালসিয়ামের অভাবে উচ্চ রক্তচাপ, প্রি-একলাম্পশিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দুধ, ঘি, মাখন, ডিমের কুসুম, ছোট মাছ (কাঁটাসহ) কলিজা, ডাল, মাংস এবং সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল ইত্যাদিতে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। কোনো কারণে সব ধরনের পুষ্টিকর খাবার জোগাড় করা সম্ভব না হলেও বাড়িতে তৈরি স্বাভাবিক খাবার যেমন- একটু বেশি ভাত, বেশি পরিমাণ ঘন ডাল, তরকারি এবং পর্যাপ্ত ফলমূল খেলে এই প্রয়োজন মিটবে।
গর্ভাবস্থায় মাকে লৌহসমৃদ্ধ খাবার (যেমন- মাংস, ডিম, কলিজা, ডাল, কাঁচাকলা, কচুশাক, লালশাক, ডাঁটাশাক, পুঁইশাক) এবং অন্যান্য সবুজ শাকসবজি ও টাটকা ফলমূল প্রতিদিন বেশি করে খেতে হবে। গর্ভবতী মায়ের খাদ্যে আয়োডিনযুক্ত লবণ এবং সামুদ্রিক মাছ ও সামুদ্রিক মাছের তেল থাকা উচিত।
প্রচুর শাকসবজি ও তাজা ফলমূল খেলেও আয়োডিনের অভাব পূরণ করা যায়। গর্ভকালীন সময়ে দৈনিক ১৫-২০ গ্লাস বিশুদ্ধ ও আর্সেনিক মুক্ত নিরাপদ পানি পান করা উচিত। এ সময় মায়েদের বারে বারে খেতে হয়।
সন্তান প্রসবের সময় মায়ের শরীরের ওপর অনেক চাপ পড়ে এবং তার দেহের অনেক ক্ষয় হয়। দেহের এ ক্ষয়পূরণ, পুষ্টি সাধন এবং দেহকে সুস্থ-সবল ও নিরোগ রাখার জন্য গর্ভবতী মায়ের মতো প্রসূতি মাকেও বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এছাড়া শিশুর জন্মের পরই তার খাবার অর্থাৎ মায়ের দুধ তৈরি হওয়ার জন্য মায়ের অতিরিক্ত পুষ্টির প্রয়োজন হয়। জন্মের পর থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে শুধু বুকের দুধ খেতে দিতে হবে।
শিশুর জন্য মায়ের শাল দুধ ও বুকের দুধ পৃথিবীর সেরা পুষ্টিকর খাবার। মায়ের দেহ থেকে বুকের দুধের উপাদান তৈরি হয়। সুতরাং প্রসূতি মায়ের নিজের স্বাস্থ্য রা ও বুকের দুধ তৈরি করার জন্য মাকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি সমৃদ্ধ সব ধরনের খাবার খেতে হবে।
প্রসূতি মহিলাদের নিজের দেহের ক্ষয়পূরণ ও বুকে দুধ উৎপাদনের জন্য প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়। এজন্য প্রসূতি মাকে প্রতিদিন প্রোটিন জাতীয় খাবার যথা-মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল ইত্যাদি বেশি করে খেতে হবে।
সাধারণত প্রসূতি মায়ের বুকে দৈনিক ২০-৩০ আউন্স দুধ তৈরি হয়। ২ গ্রাম খাদ্য প্রোটিন থেকে ১ গ্রাম দুধের প্রোটিন তৈরি হয়। এটি তখনই সম্ভব মায়েরা যদি দৈনিক ১০০ গ্রাম প্রোটিনের মধ্যে কমপে অর্ধেক বা দু-তৃতীয়াংশ প্রাণিজ প্রোটিন যেমন- মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি গ্রহণ করেন। প্রাণিজ প্রোটিন মায়ের দুধের উৎকৃষ্ট উপাদান।
শিশুর শরীর বৃদ্ধি শিশুকালই সবেচেয়ে বেশি হয়। এজন্য প্রচুর প্রোটিন প্রয়োজন। আর এ প্রোটিন শিশু মায়ের বুকের দুধ থেকেই পেয়ে থাকে। ক্যালসিয়াম ও লৌহজাতীয় খাবারও প্রসূতি মাকে বেশি করে খেতে হবে, যাতে দুধের মাধ্যমে এ দুটি উপাদান শিশুর দেহের চাহিদা পূরণ করতে পারে।
ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণের জন্য প্রসূতি মাকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। আর লৌহের চাহিদা পূরনের জন্য মার লৌহসমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত। স্তন দানকালে মায়ের প্রথম ছয় মাস অতিরিক্ত ক্যালরি প্রয়োজন। এ ক্যালরি দুধ তৈরি ও নিঃসৃত করার কাজে ব্যয় হয়। সেজন্য বেশি করে ভাত, রুটি ইত্যাদি খাওয়া উচিত। তাছাড়া ভিটামিন ‘এ’, ‘বি-১’ (থায়ামিন), বি-২ (রাইবোফেবিন) এবং ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা পূরণের জন্য প্রসূতি মাকে প্রতিদিন চাহিদার অতিরক্তি শাক-সবজি ও মৌসুমী ফলমূল খেতে হবে।
প্রসূতি মা যখন শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, তখন তার শরীর থেকে প্রতিদিন অনেক পানি বের হয়ে যায়। এ ঘাটতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য তাকে প্রচুর পানি পান করতে হবে, তাহলে দুধের প্রবাহ সহজ হয়। এছাড়া রসালো ফলমূল এবং বেশি করে ঝোল দিয়ে রান্না করা মাছের তরকারিও বেশ উপকারী।
বাচ্চা প্রতিদিন যে পরিমাণে মায়ের দুধ খায় অন্তত সেই পরিমাণ পানি জাতীয় খাবার প্রসূতি মায়ের শরীরে ফিরিয়ে দেয়া উচিত। শিশু জন্মের পর কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ প্রসূতি মাকে ভারী কোনও কাজ করতে দেওয়া যাবে না। এ সময় মা যাতে পরিপূর্ণ বিশ্রাম পান সেদিকে পরিবারের সবার দৃষ্টি দিতে হবে। প্রসূতি মায়ের পরিমিত বিশ্রাম যেমন মায়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, তেমনি শিশুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে।

শিশুর সঠিক খাবার

খাদ্য মানুষের একটি মৌলিক চাহিদা এবং অধিকার। তবে কোন খাবারের কী গুণ, কোন খাবার কতটুকু খাওয়া উচিত, কোনটা অতি প্রয়োজনীয়, কোনটা নিষিদ্ধ। না জানার ফলে নানারকম ঘাটতি বা বাড়তি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। জন্মের পর থেকে শিশুকে সঠিক ও সুষম খাবারের অভ্যস্ত করতে হবে। কীভাবে বুঝবেন শিশু পর্যাপ্ত দুধ পাচ্ছে শিশু যদি ২৪ ঘণ্টায় ৬ বার প্রস্রাব করে তবে এটা নিশ্চিত যে সে পর্যাপ্ত বুকের দুধ পাচ্ছে। এর ফলে শিশু পরিতৃপ্ত থাকবে এবং ধীরে ধীরে তার ওজন বাড়তে থাকবে। জন্মের পরে প্রথম ১৫/২০ দিন শিশুর ওজন সাধারণত একটু কমে তারপর বাড়তে শুরু করে। শিশু কাঁদলেই যে, সে দুধ পাচ্ছে না এটা মনে করার কোনও কারণ নেই। ছয় মাস থেকে এক বছর বয়সী শিশু ছয় মাসের পর থেকে শুধু মায়ের দুধ শিশুর পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে না। শিশুর ওজন প্রথম ৬ মাসে জন্ম ওজনের দ্বিগুণ হয়, এক বছরে তিনগুণ এবং দুই বছরে প্রায় চারগুণ হয়। শিশুকে কোনও নতুন খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হলে অন্তত দুই মাস সময় প্রয়োজন। এসময়ে খুব সহজেই পরিবারের খাবার থেকে তার পুষ্টি চাহিদা মেটে। পরিবারের খাবার অর্থাৎ চাল, ডাল, বিভিন্ন ধরনের সবজি, মাছ, মাংস, সয়াবিন, ফলমূল থেকে শিশুর উপযোগী করে খাবার তৈরি করা যায়। প্রথমে শিশুকে ফলের রস যেমনÑ কমলা, আনার, মালটার রস দিয়ে বাইরের খাবার শুরু করতে হয়। এতে অভ্যস্ত হলে শিশুকে সুজি/চালের গুঁড়ার হালুয়া খাওয়াতে হবে। তারপর আস্তে আস্তে খিচুড়ি শুরু করতে হবে। সাত মাস থেকে খাবারের রুটিন সারাদিনে যতবার সম্ভব বুকের দুধ খাওয়াতে হবে দিনে কমপক্ষে ১ বার ফলের রস অথবা ফল (কলা/কমলা ইত্যাদি) খাওয়াতে হবে। বাচ্চার চাহিদামতো দিনে (দুপুরে ও রাতে) ২বার খিচুড়ি খাওয়াতে হবে। বাচ্চাকে ১/২ বার সুজি/চালের হালুয়া খাওয়াতে হবে।

সাত/আট মাস বয়স থেকে একটু একটু ডিম সিদ্ধ বা পোচ করে খাওয়ানো যাবে। এছাড়া শিশুকে পরিবারের সবার সঙ্গে খাবারের টেবিলে বসাতে হবে এবং পরিবারের রান্না খাবার থেকে একটু একটু খাবার মুখে দিয়ে অভ্যস্ত করতে হবে যাতে এক বছর বয়সের পর থেকে সে পুরোপুরিভাবে সবার জন্য রান্না করা খাবার খেতে পারে। এক থেকে তিন বছরের খাবার শিশুর জন্য দুই বছর পর্যন্ত মায়ের দুধ সর্বোৎকৃষ্ট দুধ। তাই দুই বছরের পর থেকে তাকে বাইরের দুধ দেয়া যেতে পারে। প্রতিদিন ২-৩ গ্লাস দুধ শিশুর চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনমতো চিনি দিয়ে খাওয়াতে হবে। দুধ ছাড়াও খিচুড়ি, হালুয়া, আটার রুটি, মৌসুমী ফল শিশুর খাবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং আস্তে আস্তে পরিবারের সবার জন্য রান্না করা খাবারে তাকে অভ্যস্ত করতে হবে। যেমনÑ সকালে নাস্তার টেবিলে পরিবারের সবাই যা খায় সেগুলো তাকে অল্প অল্প করে মুখে দিতে হবে। আবার দুপুরে সবাই যখন খেতে বসবে তখন তা থেকে একটু একটু মুখে দিতে হবে। যাতে সে ধীরে ধীরে বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে পারে এবং পরিবারের খাবারে অভ্যস্ত হতে পারে। চার থেকে ছয় বছরের খাবার সব শিশুর পুষ্টি চাহিদা একরকম হয় না। ছেলেমেয়ে, শারীরিক গঠন, বয়স ভেদে একই বয়সী শিশুদের মধ্যে পুষ্টি চাহিদা ভিন্ন হতে পারে। যেহেতু শিশুরা চার বছর বয়স থেকে স্কুলে যায়, সেহেতু তাদের টিফিনসহ প্রতিদিনের খাবারের একঘেয়েমি দূর করে খাবারে নতুনত্ব আনতে হবে। প্রতিদিন সকালে আলুভাজি-রুটি না দিয়ে কোন দিন বিভিন্ন ধরনের সবজির মিশ্রণে নিরামিষ ও রুটি, জেলি/জ্যাম দিয়ে রুটি, ডিম দিয়ে রুটি অথবা পাউরুটি টোস্ট করে বা সুজি-দিয়ে রুটি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের খাবার স্বাস্থ্য সম্মতভাবে বাচ্চাদের খাবার উপযোগী করে পরিবেশন করা যেতে পারে। সাত থেকে নয় বছর বয়সের খাবার এ বয়সের ছেলেমেয়েরা নিয়মিত স্কুলে যায়, খেলাধুলা এবং পড়াশোনা করে। তাই তাদের খাদ্যের চাহিদাও ৪-৫ বছরের ছেলেমেয়েদের চেয়ে বেশি হয় এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত খাবার একান্ত প্রয়োজন। এ বয়সে বাচ্চাদের বাইরের খাবার অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের চিপ্স, জ্যুস, ফাস্ট ফুড খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এধরনের প্রবণতা বন্ধ করা উচিত। দোকানে যে সব খাবার পাওয়া যায় সেগুলো বাসায় স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তৈরি করা যায়। বাচ্চাদের বুঝাতে হবে যে, বাইরের খাবার খাওয়া শরীরের জন্য ঠিক নয়। শিশুদের কোমল মন, সুতরাং সুন্দর করে বুঝিয়ে বললে তারা বুঝতে পারবে। তাদের খাবার অবশ্যই বৈচিত্র্যময় হতে হবে যাতে তারা খাবার খাওয়ার জন্য আকর্ষণ অনুভব করে। দশ থেকে পনের বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের খাবার শিশুদের বৃদ্ধির প্রক্রিয়া দুই বছর বয়স পর্যন্ত সর্বাপেক্ষা দ্রুত হয়। এরপর বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে আসে এবং আবার ১০-১১ বছর বয়স থেকে বৃদ্ধির হার বেড়ে যায়। মেয়েদের ১১-১৩ বছর বয়সে এবং ছেলেদের ১৩-১৫ বছর বয়সে এই বৃদ্ধি সর্বাপেক্ষা দ্রুত হয়ে থাকে। এরপর আবার বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে যায়। তবে ছেলেমেয়েদের বৃদ্ধির সাধারণ নিয়ম কিছুটা নির্ভর করে বংশগত ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা যেমনÑ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, খেলাধুলা, মুক্ত বাতাস ইত্যাদির ওপর। আর বাকিটা নির্ভর করে সুষম ও পর্যাপ্ত খাদ্যের ওপর। বৃদ্ধির হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের খাবার চাহিদাও বাড়তে থাকে। তাই খাবারের ব্যাপারে বিশেষ যতœবান হতে হবে। শিশু খেতে চায় নাÑ কী করবেন ২-৫ বছর বয়সে পৌঁছে স্বাভাবিক নিয়মে যখন শিশুর খিদে আগের চেয়ে কমে যায় তা অনেক মা-বাবাকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে তোলে। শিশু যদি ওজনে ও উচ্চতায় ঠিক থাকে, স্বাভাবিকভাবে বাড়ে, তবে খাবার সে প্রয়োজন অনুযায়ী গ্রহণ করছেÑ কথাটি জানিয়ে এসময় মা-বাবাকে আশ্বস্ত করতে হবে। মা-বাবার উচিত এনিয়ে অহেতুক মাথা না ঘামানো। বরং শিশুর বয়স বিবেচনায় রেখে খাবার সময়ের অন্তর, স্থান ইত্যাদি চিন্তায় এনে সবসময় ক্যালরিসম্পন্ন পুষ্টিকর খাবার শিশুকে জোগানো হচ্ছে কি না সে বিষয়টির প্রতি মা-বাবাকে মনোযোগী হতে হবে। ঠিক কতটা পরিমাণ খাবার শিশু খাবে সেটি তার দায়িত্ব, সে নিজে তা নিয়ন্ত্রণ করুক। একজন শিশু সাধারণত তার শরীরের চাহিদা অনুযায়ী খিদে থাকা, না থাকার উপর নির্ভর করে খাবার পরিমাণ নির্ধারণ করে। কোনো শিশুর দৈনিক আহারের পরিমাণে বেশ বড় রকমের গরমিল লক্ষ্য করা যায়, কিন্তু পুরো সপ্তাহ মিলে তার গোটা খাবারের পরিমাণ প্রায়ই ঠিক থাকে। মা-বাবার উচিত যে সময়ে বা সপ্তাহের যে দিনগুলোতে সে খাবারে আগ্রহ দেখাচ্ছে, সে সময় উচ্চক্যালরিসম্পন্ন খাবার পরিবেশন করা, শিশুকে যখন তখন চিপস্, চকলেট, ড্রিংকস খেতে না দেয়া। শাকসবজি, ডাল, চাল, ডিম এসব খাবার একটু বেশি পরিমাণ সরিষা বা সয়াবিন দিয়ে রান্না করে শিশুর খাবার সহজেই উচ্চক্যালরিসম্পন্ন করা যায়। কিন্তু তা না করে সম্পর্ণ না বুঝে খাওয়ার জন্য মা-বাবা ও অভিভাবকদের অতিনিয়ন্ত্রণ ও বাড়াবাড়ি শিশুকে তার খাবার গ্রহণের প্রাকৃতিক নিয়মে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অভ্যস্ত হতে বাধা সৃষ্টি করে। তার ফল হয় মারাÍক। হয়তো শিশু মোটেও খেতে চায় না, মা-বাবা খাবারের প্লেট হাতে নেয়া মাত্র তা দেখে সে পেছনের দিকে সরে যেতে থাকে বা অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের কারণে স্থূল শরীরের অধিকারী হয়। শিশুর খাদ্য সম্পর্কিত কুসংস্কার শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ। পুষ্টি চাহিদার কথা বিবেচনা না করে নানা রকম কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে প্রয়োজনীয় খাবার থেকে তাদের বঞ্চিত করে অপুষ্ট, দুর্বল, অসুস্থ শিশুতে পরিণত করা হয়। অনেক সময় দেখা যায়, এক বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত শিশুকে দুধ ছাড়া অন্য কোনও ধরনের খাবার দেয়া হয় না। মায়েরা মনে করেন সে অন্য কোনও খাবার হজম করতে পারবে না। আবার অনেকে শিশুকে ডাল খেতে দেন না, পেট খারাপ হবে বলে। এছাড়া অনেকে মনে করেন গুড়, চিনি, কলা, মিষ্টি আলু খেলে শিশুর কৃমি হবে। তাই এসব তাদের খেতে দেয়া হয় না। আসলে এসব খাবার থেকে কোনভাবেই কৃমি হয় না। ময়লা, নোংরা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ও অপরিষ্কার ময়লা হাতে শিশুদের খাওয়ালে শিশুরা কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। কলা খাওয়ালে শিশুর ঠাণ্ডা এবং সর্দি লাগতে পারে, ডিম খেলে পেট খারাপ হতে পারে এরকম কথাও শোনা যায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় শিশুদের পেটের অসুখ হলে শুধু ডাবের পানি বা বার্লি খেতে দেয়া হয়। এগুলো সবই খাবার সম্বন্ধে ভ্রান্ত ধারণা। এ ধরনের কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণা দূর করে শিশুদের সব ধরনের খাবার খাওয়াতে হবে।

 

শিশুর কৃমিরোগ হলে প্রতিরোধে কি করবেন?

কৃমিরোগ একটি জনস্বাস্থ্যজনিত সমস্যা। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে শিশুরাই সাধারণত কৃমিরোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। আমাদের দেশের শতকরা ৯০ জন শিশু কেঁচো কৃমিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
কৃমি থাকলে শিশুর পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা, পেট ফুলে ওঠা, পেট খারাপ, বদহজম, বমিভাব, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবশেষে শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগতে থাকবে।
সে জন্য কৃমিরোগ প্রতিরোধে আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত।
১) মল বা পায়খানা থেকেই কৃমিরোগ ছড়ায়। তাই আমাদের নিয়মিত পায়খানার জন্য ব্যবহৃত স্থানকে নির্দিষ্ট ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
২) মলত্যাগের পর অর্থাৎ পায়খানা থেকে বের হয়ে হাত সাবান বা ছাই দিয়ে ধুতে হবে।
৩) খাওয়ার আগে অবশ্যই হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
৪) যে কোনো খাবার তৈরি ও পরিবেশনের আগে হাত সাবান দিয়ে ধোয়া উচিত।
৫) ফলমূল ভালো করে ধুয়ে তারপর খাওয়া উচিত। শিশুদের হাতে পাকা কলা দিলে তা পানি দিয়ে ধুয়ে-মুছে তারপর দেয়া উচিত।
৬) সব ধরনের খাবারই ঢেকে রাখা উচিত। বাইরের খোলা খাবার খাওয়া ঠিক নয়।
৭) শিশুর হাত-পায়ের নখ কেটে রাখা উচিত।
৮) শিশুকে খালি পায়ে রাস্তায় বা বাইরে ঘোরাঘুরি ও খেলতে দেবেন না। তাতে কৃমি সংক্রমণ সহজেই হতে পারে।
৯) শিশুকে সব সময় গোসল করানো এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
১০) গরু-ছাগল বা যে কোনো ধরনের মাংস ভালোভাবে সেদ্ধ করে খেতে হবে।
১১) সব সময় ফোটানো পানি খেতে হবে।
১২) পরিবারের সবাইকে শিশুর সঙ্গে একটা করে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে।

Photo: শিশুর কৃমিরোগ হলে প্রতিরোধে কি করবেন?</p />
<p>কৃমিরোগ একটি জনস্বাস্থ্যজনিত সমস্যা। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে শিশুরাই সাধারণত কৃমিরোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। আমাদের দেশের শতকরা ৯০ জন শিশু কেঁচো কৃমিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে।<br />
কৃমি থাকলে শিশুর পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা, পেট ফুলে ওঠা, পেট খারাপ, বদহজম, বমিভাব, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবশেষে শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগতে থাকবে।<br />
সে জন্য কৃমিরোগ প্রতিরোধে আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত।<br />
১) মল বা পায়খানা থেকেই কৃমিরোগ ছড়ায়। তাই আমাদের নিয়মিত পায়খানার জন্য ব্যবহৃত স্থানকে নির্দিষ্ট ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।<br />
২) মলত্যাগের পর অর্থাৎ পায়খানা থেকে বের হয়ে হাত সাবান বা ছাই দিয়ে ধুতে হবে।<br />
৩) খাওয়ার আগে অবশ্যই হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।<br />
৪) যে কোনো খাবার তৈরি ও পরিবেশনের আগে হাত সাবান দিয়ে ধোয়া উচিত।<br />
৫) ফলমূল ভালো করে ধুয়ে তারপর খাওয়া উচিত। শিশুদের হাতে পাকা কলা দিলে তা পানি দিয়ে ধুয়ে-মুছে তারপর দেয়া উচিত।<br />
৬) সব ধরনের খাবারই ঢেকে রাখা উচিত। বাইরের খোলা খাবার খাওয়া ঠিক নয়।<br />
৭) শিশুর হাত-পায়ের নখ কেটে রাখা উচিত।<br />
৮) শিশুকে খালি পায়ে রাস্তায় বা বাইরে ঘোরাঘুরি ও খেলতে দেবেন না। তাতে কৃমি সংক্রমণ সহজেই হতে পারে।<br />
৯) শিশুকে সব সময় গোসল করানো এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।<br />
১০) গরু-ছাগল বা যে কোনো ধরনের মাংস ভালোভাবে সেদ্ধ করে খেতে হবে।<br />
১১) সব সময় ফোটানো পানি খেতে হবে।<br />
১২) পরিবারের সবাইকে শিশুর সঙ্গে একটা করে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে।

 

ঘুম কার কত ঘণ্টা প্রয়োজন

ঘুমিয়ে পড়া ও জেগে ওঠা চলে চক্রাকারে। এ দুটি বিষয় ঘুম নিয়ন্ত্রণে একসঙ্গে জুটি বেঁধে উচ্চ কুশলতায় কাজ করে, যার কাজ হলো ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া, আবার ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলা। একটি ‘এস’ ও অন্যটি ‘সি’ প্রক্রিয়া। প্রক্রিয়া ‘এস’ ঘুমের পরিমাণ ও তীব্রতা নির্ধারণ করে। এডিনোসাইনও এ জাতীয় ঘুম নিয়ন্ত্রণকারী রাসায়নিক পদার্থ, যাদের বলা হয় সমনোজেন। এগুলোর ভারসাম্য পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে ঘুমের বিষয় জড়িত। ২-১২ মাস বয়স ও শিশু বয়সে এসব দ্রুত বাড়ার কারণে শিশু দিনে বেশিণ জেগে থাকতে পারে না, ঘুমে ঢলে পড়ে। প্রক্রিয়া ‘সি’ ২৪ ঘণ্টাব্যাপী ঘুমানোর সময়কাল ও ঘুম-জাগরণের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। এর প্রধান ঘড়িটা মগজের ভেনট্রাল হাইপোথ্যালামাস অংশের ‘এসসিএন’ নিউকিয়াসে বসে থেকে হৃদযন্ত্র, রক্ত সরবরাহ তন্ত্র, হরমোন, কিডনি ও ফুসফুসে ছড়ায় এবং এগুলোকে প্রভাবিত ও বশীভূত করে কর্মযজ্ঞ সাজায়। ‘সিকারডিয়ান’ ঘড়ি আসলে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময়ের কাঁটা ধরে সাজানো থাকে। তাই এর মধ্যে থেকে কাজ করার জন্য তাকে প্রাকৃতিক পরিবেশের দ্বারস্থ হতে হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘আলো-আঁধারি’ পরিবেশ।
ঘনঘোর নিদ্রা : গভীর ঘুমের দু’টি সময় আছে, বেলা তিনটা থেকে বিকেল পাঁচটা এবং রাতের শেষ প্রহর তিনটা থেকে ভোর পাঁচটা। তেমনিভাবে সতর্ক জেগে থাকার সবচেয়ে ভালো সময় হলো দুটো, একটা মধ্যদুপুর , অন্যটা বিকেল। অর্থাৎ চোখজুড়ে প্রচণ্ড ঘুমস্রোত নেমে আসার পূর্বণ, যার অন্য নাম ‘দ্বিতীয় ঘুমঝড়’।
ঘুমের নীতিমালা : ঘুমের শারীরবৃত্তের আরেকটা নীতিমালা হলো কম ঘুমের খেসারত সুদ-আসলে মিটিয়ে নেওয়া। ঘুমে ব্যাঘাত জমতে জমতে ঘুমের মূল্যে ঋণ করে চলে দীর্ঘদিন, যা পরবর্তী সময় অবশ্যই ফেরত পেতে চায় স্ব-উদ্যোগে বিভিন্ন পদপে নিয়ে। যেমন, দিবানিদ্রায় কাতর করে দিয়ে, দিনের মনোযোগ বিলুপ্ত করে, কয়েক সেকেন্ডের জন্য হলেও ুদ্র ঘুম ঢেউয়ে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়ে। সর্বদা ঘুমে আচ্ছন্নভাব, নিরতিশয় কান্তি, ঘন ঘন হাই ওঠা, বিগড়ানো মেজাজ, হতাশ ভাব, মানসিক অবস্থার সদা পরিবর্তন, ক্রুদ্ধতা, শিরঃপীড়া, মাংশপেশীতে ব্যথা, লেখাপড়ায় খারাপ করা, স্কুলে ক্রমাগত পিছিয়ে পড়া। এসব উপসর্গ তৈরি হয় ভালোমতো ঘুমাতে না পারায়।
ঘুমের বৈশিষ্ট্য : নবজাতক (০-২ মাস) : নবজাতক ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১০ থেকে ১৯ ঘণ্টা ঘুমাবে, অপরিণত শিশু খানিকটা বেশি। বুকের দুধ পানের শিশু একনাগাড়ে এক থেকে তিন ঘণ্টা ঘুমায়। অন্যদিকে, ফর্মুলার শিশু দুই থেকে পাঁচ ঘণ্টা একনাগাড়ে ঘুমায়। এক থেকে দুই ঘণ্টা জেগে থাকার বিরতি থাকে মাঝখানে। দিন-রাতে সমান হারে ঘুমায় বিশেষত প্রথম সপ্তাহ। পরে সাধারণত রাতে সাড়ে আট ঘণ্টা এবং দিনে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার মতো ঘুমায়। এ সময়ে বাচ্চার ঘুমানো নিয়ে মা-বাবার ধারণার সঙ্গে পূর্ব পরিচয় না থাকায় অনেক অনুযোগ তৈরি হয়। তবে অতিরিক্ত কান্না, অস্থিরতা, নবজাতকের পেটব্যথা, জি-ই রিফাক্স, ফর্মুলা খাবারের প্রতিক্রিয়ায় ঘুম নাও হতে পারে। শিশুকে ঘুমের সময় যেন পিঠের ওপর শোয়ানো হয়, শক্ত ম্যাট্রেসে ও নরম বিছানায় নয়। বালিশ বা কমফোর্টারস ব্যবহার নিষেধ। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন শিশুর বুক ও মাথা ঢাকা না থাকে।
কোলের শিশু (২-১২ মাস) : মোট ঘুমের পরিমাণ ২৪ ঘণ্টায় ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টার মতো। রাতে নয় থেকে ১০ ঘণ্টা এবং দিনে তিন-চার ঘণ্টার মতো। ঘুমে হাত-পা কামড়ানো, মাথা দোলানো-এ সব ভালো ঘুম না হওয়ার উপসর্গ বলে স্বীকৃত। ছয় সপ্তাহ থেকে তিন মাস বয়সের শিশু ঘুমের ব্যাপ্তি দখলে নিতে পারে।
টলটলিয়ে হাঁটতে পারা শিশু (১-৩ বছর) : মোট দৈনিক ঘুম ১১ থেকে ১৩ ঘণ্টা। দিনের বেলায় দুবারের ঘুমের চাহিদা কমে ১৮ মাস বয়সে একবারে পরিণত হয়। অনিদ্রার ছাপ ফুটে ওঠে উপসর্গে। শিশুর বুদ্ধিবৃত্তি বিকাশে, ভাষা ও বাকশক্তি অর্জনে সুনিদ্রা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাতে ঘুমের সময় ভয় পায়।
স্কুল-পূর্ব বয়স (৩-৫ বছর) : রাতে নয় থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমায়। দিনে আর নাও ঘুমাতে পারে। অনিদ্রার ফলস্বরূপ ঘুমে হাঁটা, ঘুমাতঙ্ক এসব লণ দেখা যায়। অনিদ্রা রোগ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
শৈশব (৬-১২ বছর) : নয় থেকে ১১ ঘণ্টার দৈনিক ঘুম। ভালো ঘুম না হলে ঘুমে শ্বাসরোধ লণ মেলে। টিভি, কম্পিউটার, ভিডিও গেমস ঘুম হরণের প্রধান কারণ। স্কুল ফলাফলে এর প্রভাব পড়ে।
কৈশর-যৌবন (১২ বছরের বেশি বয়সে) : গড় ঘুম সময় দৈনিক সাত থেকে নয় ঘণ্টা। অনিদ্রার স্বরূপ অতিমাত্রায় ঘুমিয়ে পড়ার প্রবণতা ‘নারকোলেপসিতে’ প্রকাশ পায়। রাতে দেরিতে ঘুমানো, সপ্তাহ শেষে বন্ধের দিনে তা পুষিয়ে নেওয়া-এসব অস্বাভাবিক চিত্র তৈরি হয়। ফলাফল ভালো হয় না।
আরেক ব্যাখ্যায় বলা হয়, বিজ্ঞানীরা ঘুমকে প্রধানত ২টি ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথমটি ‘নন র‌্যাপিড আই মুভমেন্ট ঘুম’ এবং দ্বিতীয়টি ‘র‌্যাপিড আই মুভমেন্ট ঘুম’। নন-রেম ঘুমকে আরো ৪ পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে চোখ জড়িয়ে আসে, ক্রমেই ঘুম হতে থাকে। দ্বিতীয় পর্যায়ে গাঢ় ঘুম হয়। তারপর তৃতীয় গভীর ঘুম, এবং চতুর্থ গভীরতম ঘুম হয়। এভাবে প্রথম ভাগের চারটি স্তর পেরিয়ে পাতায় ঢাকা অেিগালক নড়াচড়া না করলে তাকেই বলে ‘নন-রেম ঘুম’। অপরদিকে এটি যদি দ্রুত নড়াচড়া করে তবে তাকে বলে ‘রেম ঘুম’।
গবেষক ল করেছেন যে, ননরেম নিদ্রার সময় মস্তিষ্ক তরঙ্গ ক্রমে ধীর গতি হয়, ঘুমন্ত মানুষটি স্থির থাকে, অেিগালক নড়াচড়া করে না, শ্বাস-প্রশ্বাস ধীর গতিতে চলে, অনেকেই এই সময় নাক ডাকতে থাকে। চতুর্থ পর্যায়ে ঘুম গভীরতম হয় এবং তখন বৈজ্ঞানিক ক্রিয়াকাণ্ডও চলে সবচেয়ে ধীর গতিতে। আবার অন্যদিকে রেম ঘুম সবচেয়ে হালকা। এখানে অেিগালক নড়াচড়া করে শ্বাস-প্রশ্বাসে ছন্দ থাকে, মগজে রক্ত চলাচল বাড়ে। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও নড়াচড়া করে। আশ্চর্যের ব্যাপার এই ঘুমের পর্যায়গুলো চলে চক্রাকারে। যেমন, শুরুতেই ননরেম ঘুমের ১ম, ২য়, ৩য় ও চতুর্থ পর্যায় বা ধাপ এভাবে চলে ৯০ মিনিট। এরপর শুরু হয় রেম ঘুম যা ৫Ñ২০ মিনিট মাত্র থাকে। আবার শুরু হয় ৯০ মিনিটের পর্যায়, তারপর ৫Ñ২০ মিনিটের চক্র চলতে থাকে সারা রাত ব্যাপী।
সুস্বাস্থ্যের অধিকারী একজন মানুষ গড়ে দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমালে পন্ডিত দেখেছেন যে, এর মধ্যে ৬ ঘণ্টা চলে ননরেম ঘুম এবং ২ ঘণ্টা চলে রেম ঘুম। কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে গবেষকগণ গড়ে দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছেন। ঘুমের প্রয়োজনীয়তা বয়স বাড়ার সাথে সাথে কমতে থাকে এবং ৫০ বছর পর ননরেম ঘুমের ৪র্থ পর্যায় অর্থাৎ গভীরতম ঘুম থেকে অনেকেই বঞ্চিত হন। তাতে কোনো অসুবিধা নেই। ননরেম ঘুমকে বলা হয় ‘গভীরতম ঘুম’ অথবা ‘স্বপ্নহীন ঘুম’। এ সময় স্বপ্ন থেকে ঘুমন্ত ব্যক্তিকে ডেকে তোলা সহজ। অপরদিকে রেম ঘুম স্তরে ঘুমটা খুব গভীর হয় না। অথচ এ সময় খুব সহজে ঘুমন্ত ব্যক্তিকে ডেকে তোলা যায় না। এ সময় মানুষ স্বপ্ন দেখে এবং সকাল বেলায় তা মনে থাকে। তাই রেম ঘুমকে বলা হয় ‘স্বপ্নময় ঘুম’।