ভুমি অফিসের প্রধান কার্যাবলী :
১। সরকারী সম্পত্তি রক্ষনা-বেক্ষন করার ব্যবস্থা করা।
২। ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা।
৩। নামজারী ও জমাভাগ করা।
৪। সরকারী ভূমি সম্পর্কিত যে কোন জরুরী কাজ করা।
৫। সরকারী অন্যান্য অর্পিত বিশেষ বিশেষ কাজ করা।
৬। ভুমি উন্নয়ন কর তালিকা হালনাগাদ করা।
ভূমি সম্পর্কীত কিছু জরুরী কথা যা সকলের জানা দরকার বিধায় নিম্নে তুলে ধরা হল:-
-
- মুগলদের বাংলা জয়ের পর জমিদার একটি বিশেষ পদবি হয় এবং জমিদার বলতে বোঝায় বিভিন্ন ধরনের জমি ও অধিকারের মালিক। স্বায়ত্তশাসিত কিংবা আধা স্বাধীন সর্দার বা গোষ্ঠীপ্রধান থেকে শুরু করে স্বত্বাধিকারী কৃষক যে কেউ জমিদার হয়ে উঠতে পারত। স্বাধীন বা আধা-স্বাধীন সর্দার বা প্রধানরা বশ্যতাক্রমে বা মিত্রতাক্রমে পেশকাশি (নজরানা প্রদানকারী) অধস্তন মিত্রে পরিণত হয়। কিন্তু তাদের প্রশাসনিক স্বশাসনের অধিকার কার্যত অক্ষুন্ন থাকে। আর বাকি সকলেই প্রায় মালজামিন (ভূমি রাজস্ব প্রদানকারী) ছিলেন। তারা মুগলদের জন্য রাজস্ব সংগ্রহ করতেন। মুগলরা স্বশাসিত অথবা সীমান্ত অঞ্চলের সর্দার বা প্রধানদের ছাড়া জমিদার শ্রেণীর বাকি সকল ব্যক্তির বংশানুক্রমিক পদমর্যাদা খর্ব করে। তাদের ওয়ারিশগণ জমিদারিতে বহাল থাকবে কিনা তা কিছুটা হলেও ছিল দেশের সার্বভৌম শাসকের ইচ্ছাধীন। বিদ্রোহ করলে কিংবা নির্ধারিত রাজস্ব পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাদেরকে অপসারণ করা যেত। শাসককে পরিতুষ্ট করার বিনিময়ে এই জমিদাররা বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা যেমন, খিলাত (মর্যাদাসূচক পরিচ্ছদ) ও খেতাব লাভের অধিকারী ছিলেন। তাদের মর্যাদা, সম্পদ ও অন্যান্য বিষয়ের দ্বারা নির্ধারিত হতো ঐসব অধিকার।
- প্রাক্-আধুনিক ভারতে বেসামরিক প্রশাসন প্রধানত রাজস্ব সংক্রান্ত বিষয়ের ব্যবস্থাপনাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হতো। সে কারণে জমি প্রদানের সঙ্গে বেশকিছু প্রশাসনিক দায়িত্বও অর্পণ করা হতো। এই দায়-দায়িত্বের আওতায় জমিদারগণকে রাজস্ব নির্ধারণের বিশদ বিবরণ প্রণয়ন, চাষিদের কাছ থেকে খাজনা আদায় এবং তা রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের কাছে অর্পণ করতে হতো। এছাড়াও স্থানীয় এলাকায় শান্তি রক্ষার কাজে রাজকীয় কর্মকর্তাদেরকে সাহায্য-সহায়তা এবং প্রয়োজনে সেনা সরবরাহ করতে তারা বাধ্য ছিলেন। উচ্চতর শ্রেণীর ভূম্যধিকারীদের শক্তি ও কর্তৃত্বের আংশিক উৎস ছিল জমিতে উৎপন্ন ফসল ও অন্যান্য সামগ্রীতে তাদের ভাগ এবং অংশত স্থানীয় জনপদে তাদের সনাতন আভিজাত্যপূর্ণ মর্যাদাগত অবস্থান। সম্রাটের সনদে এই শ্রেণীর লোকদেরকে যে রাষ্ট্রীয় কর্তব্য পালনের দায়িত্ব দেওয়া হতো সেগুলি পালনে তাদের এই অবস্থানগত মর্যাদা ও পরিস্থিতি বেশ অনুকূল ছিল।
-
- বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন, ১৮৮৫ ভূমি নিয়ন্ত্রণে প্রজা ও জমিদারদের পারস্পরিক দায় ও অধিকার সংক্রান্ত কানুন। আইনটি প্রণীত হয়েছিল একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটে। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পর থেকে জমিদার-প্রজা সম্পর্কে অবনতি ঘটতে থাকে। পরিশেষে উভয় শ্রেণীর মধ্যে দ্বন্দ্ব এমন চরমে ওঠে যে, ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র-ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা হুমকির সম্মুখীন হয়। জামিদারদের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রজা-অসন্তোষ প্রশমনের উদ্দেশ্যে সরকার প্রয়োজনীয় বিধিবিধান প্রণয়নের আবশ্যকতা অনুভব করে। স্মর্তব্য যে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থা জমিদারকে ভূমির একমাত্র মালিক বলে ঘোষণা করলেও রায়তের অধিকার সম্পর্কে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত রেগুলেশন ছিল নিরুত্তর। তবে ভূমিতে যে প্রজার প্রথাগত অধিকার বিদ্যমান এ সম্পর্কে রেগুলেশনে অস্পষ্ট আভাষ ছিল। উনিশ শতকের প্রথমদিকে কৃষকের চেয়ে ভূমি বেশি থাকায় প্রজার ওপর জমিদারদের উৎপীড়ন তেমন লক্ষ্য করা যায় নি। কিন্তু উনিশ শতকের শেষপর্বে এসে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ভূমির ওপর পৌনঃপুনিক চাপ বৃদ্ধি পায় এবং এর স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় জমিদার-রায়ত সম্পর্কের ওপর। ভূম্যধিকারী শ্রেণীর মধ্যে ভূমির চাহিদা বৃদ্ধির সুযোগে খাজনার হার বৃদ্ধি করার প্রবণতা দেখা দেয়। কিন্তু রায়তশ্রেণী জামিদারদের এহেন প্রবণতাকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে এ যুক্তিতে যে, ভূমিতে তাদের প্রথাভিত্তিক অধিকার রয়েছে এবং তা ক্ষুণ³ করার অধিকার জমিদারের নেই। তারা দাবি করে যে, প্রত্যেক মহালের পরগনা নিরিখ বা খাজনার হার প্রথাগতভাবে নির্ধারিত রয়েছে। তাদের মতে, পরগনা নিরিখ মোতাবেক সে নির্ধারিত হার সম্পূর্ণ আইনানুগ ও বৈধ। তারা দাবি করে যে, যুগ যুগ ধরে প্রচলিত ঐ পরগনা নিরিখ উপেক্ষা করে খাজনা বৃদ্ধি করার অধিকার জমিদার বা সরকারের নেই। কিন্তু জমিদার শ্রেণী এ যুক্তি বরাবর অগ্রাহ্য করে পাল্টা যুক্তি দেয়ে যে, জমির একচ্ছত্র মালিক হিসেবে জমিদার ইচ্ছেমতো খাজনা বৃদ্ধির অধিকার রাখে। তাদের মতে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত রেগুলেশন অনুসারে রায়ত হলো জমিদারের ইচ্ছাধীন প্রজা (tenant-at-will), অর্থাৎ ভূমির মালিক হিসেবে জমিদার ইচ্ছেমতো খাজনার হার পরিবর্তন করতে পারে, এমনকি রায়তকে উচ্ছেদও করতে পারে।
- জমিদার-প্রজা সম্পর্ক অবনতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে মধ্যস্বত্ব সমস্যা। সূর্যাস্ত আইনের চাপে পড়ে খাজনা সংগ্রহের সুবিধার্থে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত রেগুলেশন লঙ্ঘন করে জমিদাররা ভূমিতে মধ্যস্বত্ব সৃষ্টি করতে থাকে উনিশ শতকের প্রথম থেকেই। এ প্রবণতার ফলে জমিদার ও প্রজার মধ্যখানে উদ্ভূত হয় উৎপাদনে ভূমিকাহীন মধ্যস্বত্বাধিকারী নামে একটি পরজীবী শ্রেণী। জমিদার ও মধ্যস্বত্বাধিকারীর আয় অটুট রাখা বা বৃদ্ধি করার জন্য খাজনা বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দেয়। ভুক্তভোগী রায়ত আইনের আশ্রয় নিলে আদালত মধ্যস্বত্বাধিকারীর অধিকার সম্পর্কে কোন চূড়ান্ত রুলিং না দিয়ে কখনও এ সমস্যাকে বৈধ, কখনও বা অবৈধ বলে রায় প্রদান করে। ফলে রায়ত ও জমিদার শ্রেণী, তথা রায়ত ও ঊর্ধ্বতন সকল ভূ-স্বার্থশ্রেণীর মধ্যে বিরোধ বাড়তেই থাকে। এ বিরোধকে তীব্রতর করে আরেকটি নবোত্থিত ভূমি-ভিত্তিক শ্রেণী। ব্রিটিশ শাসনাধীনে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ ও কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি প্রভৃতি কারণে গ্রামীণ সমাজে ধনী কৃষকের উদ্ভব ঘটে। কিন্তু ভূমিতে এদের অধিকার ছিল অন্যান্য প্রজার মতোই নূ্যন যা তারা মেনে নিতে পারে নি। তাদের স্বচ্ছলতা ও সামাজিক প্রতিপত্তি এমন বৃদ্ধি পায় যে, তারা অধিকার আদায়ের জন্য সাধারণ প্রজাদের নেতৃত্ব দিতে থাকে। এসব ধনী কৃষককে শান্ত করার উদ্দেশ্যে শাসকশ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করে প্রণীত হয়েছিল ১৮৫৯ সনের খাজনা আইন, এ আইনে ভূমিতে ধনী কৃষকদের কিছু অধিকার স্বীকৃত হয়। কিন্তু এতে কৃষক অসন্তোষ প্রশমিত হয় নি।
- উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে কৃষক প্রতিরোধ আন্দোলন ক্রমশ দানা বেঁধে উঠলে সরকার উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে। ১৮৭০-এর দশকে সারা বাংলায়, বিশেষ করে পাট উৎপাদনকারী জেলাসমূহে কৃষক প্রতিরোধ আন্দোলন এমন চরমে ওঠে যে, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জেলায় জেলায় জমিদারবিরোধী প্রজাজোট গঠন করে রায়তশ্রেণী আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটায়। পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সরকার ১৮৮০ সনে একটি খাজনা কমিশন গঠন করে। খাজনা কমিশনের সুপারিশের আলোকে বঙ্গীয় আইন পরিষদ ১৮৮৫ সালে অষ্টম আইন প্রণয়ন করে যা, সাধারণভাবে বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন নামে পরিচিত। প্রজাদের দাবিদাওয়া অনেকাংশে মেনে নিয়ে আইনটি বিভিন্ন শ্রেণীর প্রজা ও মধ্যস্বত্বাধিকারীর অধিকার ও দায়দায়িত্ব সংজ্ঞায়িত করে। প্রথাগত অধিকারও এ আইনে স্বীকৃত হয় যা কৃষক প্রতিরোধ আন্দোলনের এক বড় অর্জন। তবে বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনে নিম্নশ্রেণীর রায়তের অধিকার সংজ্ঞায়িত হয় নি। কোর্ফা, বর্গা, চাকরান, নানকার, কর্ষা প্রভৃতি নিম্নশ্রেণীর কৃষক জমিদারের ইচ্ছাধীন প্রজারূপে চিহ্নিত হলো এবং বাকি সব প্রজা স্থায়ী ভূ-স্বার্থ শ্রেণী হিসেবে স্বীকৃত হলো। বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন পর্যায়ক্রমে ভূমি জরিপের জন্য একটি ম্যানুয়েলও তৈরি করে। এ জরিপের উদ্দেশ্য, জমিদার থেকে নিম্নতম প্রজা পর্যন্ত সকল শ্রেণীর অধিকার, দায়দায়িত্ব চিহ্নিত করে একটি চকভিত্তিক স্বত্ব-খতিয়ান ( Record of Right ) দলিল তৈরি করা।
-
- জমিদারদের জন্য চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের বিধিবিধানগুলির মধ্যে সবচেয়ে মারাত্যক দিক ছিল রাজস্ব বিক্রয় আইন, যাকে তারা মোলায়েম ভাষায় বলতেন সূযাÆস্ত আইন। এই আইনের শর্ত অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় রাজস্ব বারোটি কিস্তিতে জেলা কালেক্টরেটে পরিশোধ করতে হতো। কোন জমিদারের প্রদেয় কিস্তি বকেয়া পড়লে পরবর্তী মাসে ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর ঐ জমিদারের জমি থেকে বকেয়া কিস্তির সমমূল্যের জমি বিক্রয় করে সেই টাকা উসুল করতেন। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কার্যকর হওয়ার একেবারে শুরু থেকে রাজস্ব বিক্রয় আইনের (সাধারণ্যে সূর্যাস্ত আইন নামে পরিচিত) অধীনে শত শত জমিদারি সম্পত্তি বিক্রয় হয়ে যায়। সেকালের লোকেরা এই আইনকে সূযাÆস্ত আইন বলত এই অর্থে যে, এর ফলে একটি শাসক পরিবারে অন্ধকার নেমে আসত। চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কার্যকর হওয়ার দশ বছরের মধ্যে বাংলার জমিদারি সম্পত্তির প্রায় অর্ধেকের মালিকানা বদল হয়।
- নয়া জমিদার খোদ চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কার্যপদ্ধতির মধ্যে পুরানো জমিদারদের স্থলে এক নতুন জমিদার শ্রেণীর উদ্ভবের সুযোগ নিহিত ছিল। এই ব্যবস্থার প্রণেতারা সচেতন ছিলেন যে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কার্যকর হওয়ার পর ভূমির একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি হবে এবং তার ফলে দুর্বল ও অদক্ষ জমিদাররা ভূমির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবেন, ভূমির মালিকানার ক্ষেত্রে নতুন রক্তের সঞ্চালন ঘটবে। আগেই ধারণা করা হয়েছিল যে, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মধ্য দিয়ে ভূমিনিয়ন্ত্রণ কর্মকাণ্ডে টাকাওয়ালা ও উদ্যমী এক শ্রেণীর লোকের প্রবেশ ঘটবে, যারা কৃষি ব্যবস্থার পরিবর্তনে পালন করবে সহায়ক ভূমিকা।
- কিন্তু দুভাÆগ্যক্রমে ভূমি ব্যবস্থাপনায় নয়া জমিদার ও পুরানো জমিদারদের মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য ছিল না। নয়া জমিদারদের অধিকাংশেরই আগমন ঘটে জমিদারদের চাকুরে, সরকারি চাকুরে এবং বণিক ও ব্যবসায়ী শ্রেণীর মধ্য থেকে। সনাতন জমিদারদের মধ্যে দেখা যেত প্রণোদনার অভাব এবং আলস্য, আর ভূমি নিয়ন্ত্রণে নবাগতরা কৃষি খাতের উন্নয়নকল্পে কোন পুঁজি বিনিয়োগ না করে নিজেদের আয় বাড়ানোর চেষ্টা করতেন বর্গাচাষিদের ওপর উচ্চ হারে খাজনা আরোপের মধ্য দিয়ে।
-
-
- মুসলিম উত্তরাধিকার আইনে নিচের ৬ জন কোন অবস্থায়ই উত্তরাধিকার হতে বাদ যায় না-
- বাবা?
- ক.মৃত ব্যক্তির কোন পুত্র থাকলে বাবা ছয় ভাগের এক ভাগ (১/৬) পাবেন।
- খ.পুত্র, পুত্রের পুত্র না থাকলে কিন্তু কন্যা, পুত্রের কন্যা থাকলে ছয় ভাগের এক ভাগ (১/৬) পাবেন এবং তাদের দেয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকবে তাও পাবেন।
- গ. মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান না থাকলে অন্যান্য অংশীদারদের দেয়ার পর বাকী সমস্ত সম্পত্তি পিতা পাবেন।
- মাতা?
- ক. মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান থাকলে তবে মাতা ছয় ভাগের এক ভাগ ( ১/৬) পাবেন।
- খ. কোন সন্তান না থাকলে এবং যদি একজনের বেশি ভাই বা বোন না থাকে তবে মাতা তিন ভাগের এক ভাগ ( ১/৩) পাবেন।
- স্বামী স্ত্রীর সম্পত্তি কতটা পাবেন ?
- ক. সন্তান থাকলে স্বামী স্ত্রীর সম্পত্তির চারভাগের একভাগ (১/৪) পাবেন।
- খ. যদি সন্তান না থাকে তাহলে স্বামী মোট সম্পত্তির দুই ভাগের এক ভাগ (১/২) পাবেন।
- স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তি কতটা পাবেন ?
- ক. সন্তান থাকলে স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগ (১/৮) পাবেন।
- খ. যদি সন্তান না থাকে তাহলে স্ত্রী মোট সম্পত্তির চার ভাগের এক ভাগ (১/৪) পাবেন।
- গ. যদি মৃতের একাদিক স্ত্রী থাকেন তাহলে কোরআনে বর্ণিত অংশ স্ত্রীদের মধ্যে সমান ভাবে ভাগ হবে।
- ছেলে মৃত বাবার সম্পত্তি কতটুকু পাবেন ?
- ক. মৃতব্যক্তির সম্পত্তিতে পিতা, মাতা, স্বামী/স্ত্রী নির্দিষ্ট সম্পত্তি পাওয়ার পর অবশিষ্ট সম্পত্তি ছেলে মেয়ের মধ্যে বন্টন করা হবে। তবে মেয়ে না থাকলে অংশীদারদের অংশ দেয়ার পর অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে বাকী সম্পূর্ণ সম্পত্তি ছেলে পাবে।
- মেয়ে মৃত বাবার সম্পত্তি কতটুকু পাবেন ?
- ক. একজন কন্যার অংশ দুইভাগের একভাগ (১/২)
- খ. একাধিক মেয়ে হলে সকলে মিলে সমানভাবে তিন ভাগের দুই ভাগ (২/৩) পাবে।
- গ. যদি পুত্র থাকে তবে পুত্র ও কন্যার সম্পত্তির অনুপাত হবে ২:১ অর্থাৎ এক মেয়ে এক ছেলের অর্ধেক অংশ পাবে।
- বাংলাদেশ সুপ্রীম কোরট ব্যতীত দেওয়ানী আদালত ৫ প্রকার । আদালতের শ্রেনী বিভাগ ও বিচারিক ক্ষমতাঃ-
- ক. সহকারী জজ আদালত (Assistant Judge Court) - ২,০০০০০ টাকা পরযন্ত।
- খ. সিনিয়র সহকারী জজ আদালত (Senior Assistant Judge Court) - ২,০০০০১-৪,০০০০০ টাকা পরযন্ত ।
- গ. যুগ্ন জেলা জজ আদালত (Joint District Judge Court) - ৪,০০০০১-অসীম ।
- ঘ. অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত
- ঙ. জেলা জজ আদালত (District Judge Court) - আপীল এখতিয়ার ৫,০০০০০ টাকা মূল্যমান ।
-
দেওয়ানি আদালতের অধিকাংশ মামলাই জমিজমা সংক্রান্ত। সমাজে অধিকাংশ বিরোধ জমিজমা কিংবা সম্পত্তি কেন্দ্রিক। আপনার জমিতে অন্য কেউ মালিকানা দাবি করলে তখন আপনি কখন কোন মামলা করবেন, সেটিই আজকের আলোচ্য বিষয়।
- আমরা যে জমির মালিক সেই জমি আমরা দখলে রাখার অধিকারী। এ জমি অন্য কেউ দখলে নিতে পারবে না। যদি কারো দখলে থাকে তবে আদালতে মামলা করে দখল পুনরুদ্ধার করা যায়। কাউকে আইনানুগভাবে কোনো জমিতে নির্দিষ্ট সময়ের দখল দিলে সেই নির্দিষ্ট সময় পরে দখল বুঝিয়ে না দিলে বেআইনিভাবে শক্তি প্রয়োগ করে দখল উদ্ধার করা যায় না। এ ক্ষেত্রেও মামলা করে দখল উদ্ধার করতে হয়। এ মামলাকে 'উচ্ছেদের মামলা' বলে। ১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ধারায় জজ কোর্টে এ মামলা করা যায়।
- সহকারী জজ না সাব-জজ আদালতে মামলা হবে তা নির্ভর করবে জমির দামের ওপর। জমির দাম দুই লাখ টাকা পর্যন্ত হলে সহকারী জজ আদালতে মামলা করতে হবে। দুই লাখ টাকার বেশি কিন্তু চার লাখ টাকার কম দাম হলে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে। এর চেয়ে বেশি দামের জমির ক্ষেত্রে যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করতে হয়। সরকার জাতীয় সংসদের মাধ্যমে দেওয়ানি আইন সংশোধন করে জজ সাহেবদের এ ক্ষমতা কম-বেশি করতে পারে। সাধারণত লোকে কোর্ট ফি ফাঁকি দেয়ার জন্য জমির দাম কম দেখায়। তাই অনেক সময় মনে হতে পারে ক্ষমতার চেয়ে বেশি দামের জমির মামলা জজ সাহেব বিচার করছেন কেন? আসলে যিনি মামলা করবেন তিনি আর্জিতে জমির দাম উল্লেখ করবেন। জমির দামের ওপর ভিত্তি করে কোর্ট ফি হিসেবে 'কোর্ট ফি স্ট্যাম্প' জমা দিতে হয়।
- এ ধরনের মামলায় দখলের জন্যও আবেদন করতে হয়। দখল পুনরুদ্ধারের মামলা করা হলেও এ মামলায় স্বত্বের প্রমাণ করতে হয়। যিনি দখলে থাকেন তাকেই প্রাথমিকভাবে মালিক বলে অনুমান করা হয়। যদি কেউ বিপরীত কিছু বলতে চায় তবে তাকে তা প্রমাণ করতে হয়। এ কারণে দখল পুনরুদ্ধারের মামলায় বাদীকে প্রথমত স্বত্ব প্রমাণ করতে হয়। প্রথমে শুধু স্বত্ব ঘোষণার মামলা করার পর আলাদাভাবে দখল দেয়ার জন্য মামলা করা যায় না। একই কারণে বারবার মামলা করলে মানুষ হয়রানি হবে, মামলার সংখ্যা বাড়বে তাই আইনের এ নীতি। আলাদাভাবে মামলা করলে অযথা মামলার সংখ্যা বাড়ে ও সময় নষ্ট হয়। এ আইনের মামলায় স্বত্বের প্রমাণ করতে হয়। বেদখলের ১২ বছরের মধ্যে মামলা দায়ের করতে হয়। ১২ বছর অতিক্রান্ত হলে তামাদির কারণে আর মামলা করা যায় না। ১২ বছরের মধ্যে বেদখল করার প্রমাণ করতে হয়। স্বত্বহীন ব্যক্তি ১২ বছরের বেশি সময়ের জন্য কোনো জমি দখলে রাখলে মালিকানার দাবি করতে পারেন। সরকারি জমির জন্য এ সময় ৬০ বছর। এ জন্য মামলা করে মালিকানা পেতে হয়। এ মামলাকে 'বিরুদ্ধ দখলের মামলা' বলে।
- কেউ জোর করে বেদখল করলে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ১৪৪ ফৌজদারি কার্যবিধির ধারায় মামলা করে জমির দখল ফেরত পাওয়া যায়। এ জন্য বেদখল হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে মামলা করতে হয়। ৬০ দিন পর মামলা করলে পুনর্দখল নেয়া যায় না। ১৪৪ ধারায় মামলা করলে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত একই আইনের ১৪৫ ধারায় জমি ক্রোক করতে পারে। ফৌজদারি আদালতে মামলা করলেও দেওয়ানি আদালতের দরজা খোলা থাকে। দেওয়ানি আদালতে মামলা করতে কোনো বাধা নেই। মারধর বা শান্তি বিনষ্টের আশঙ্কা থাকলে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এ মামলা করে রাখা ভালো। এ মামলা করা সত্ত্বেও দেওয়ানি আদালতে মামলা করতে কোনো বাধা নেই।
- ঘোষণামূলক মামলা
- জমিতে যার স্বত্ব আছে সে বিনা বাধায় তার জমি ভোগদখল করার অধিকারী। আবার যার আইনগত অধিকার আছে (যেমন যে লিজ নিয়েছে) সেও বিনা বাধায় ভোগদখল করার অধিকারী। সে অধিকারে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। বাধা সৃষ্টি করলে আদালতে মামলা করে অধিকার সম্পর্কে ঘোষণা পাওয়া যায়। এ জাতীয় মামলাকে 'ঘোষণামূলক মামলা' বলে।
- কলিমদ্দির একখ- জমি আছে কিন্তু কিছু দিন ধরে সে শুনছে তাদের পাড়ার লুতু এ জমি জোর করে দখল নেবে। কলিমদ্দির বাবা এ জমি লুতুর শ্বশুরের কাছ থেকে ১৫ বছর আগে কিনেছিল। কলিমদ্দির বাবা প্রায় ১০ বছর আগে মারা গেছে। পাড়ার লোকের কাছে লুতু বলে বেড়াচ্ছে যে তার শ্বশুর তার স্ত্রীকে এ জমি দান করেছিল। লুতুর ছেলে কলেজে পড়ে, রাজনীতি করে, দলবল নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। লুতুর শ্বশুর তার মেয়েকে সত্যি সত্যি দান করে দিলে এত দিনে প্রকাশ করত। কিন্তু লুতুর শ্বশুর মারা যাওয়ার পর এ জমি দাবি করা হচ্ছে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কলিমদ্দি লুতুর বিরুদ্ধে ক্যানভ্যাস করেছে। তাই লুতু কলিমদ্দিকে হয়রানি করার জন্য তার জমি দখল করে শায়েস্তা করতে চায়।
- কলিমদ্দি এ অবস্থায় দেওয়ানি আদালতে 'ঘোষণামূলক মামলা' করতে পারে। আদালত ঘোষণা দিতে পারে এ জমির স্বত্ব দখলকার কলিমদ্দি। এ জমিতে লুতু কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। যদি লুতু কলিমদ্দির জমি এরই মধ্যে দখল করে নিত তবে আর ঘোষণামূলক মামলা হতো না। তখন উচ্ছেদের মামলা করতে হতো। সে ক্ষেত্রে এ মামলা আর ঘোষণামূলক মামলা থাকত না। বিভিন্ন ঘটনার ওপর ঘোষণামূলক মামলা করা যায়।
- ফাতেমা ঢাকায় গার্মেন্টে কাজ করে। সে মাঝেমধ্যে বাড়ি আসে। পাশের বাড়ির ছেলে আসাদ তাকে পছন্দ করে, বিয়েও করতে চায়। ছেলের বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো কিন্তু ফাতেমারা খুব গরিব। ছেলের বাবা প্রভাবশালী, ফাতেমাকে পছন্দ করে না। এলাকার মওলানাকে দিয়ে ফতোয়া দিয়ে দিল ফাতেমা খারাপ মেয়ে। সে ঢাকায় গিয়ে খারাপ কাজ করে। সে আর গ্রামে আসতে পারবে না। ফাতেমা গ্রামে আসতে পারবে এ মর্মে 'ঘোষণামূলক ডিক্রি' পেতে পারে।
- সদর খান খোকসা পাইলট স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, স্কুলের অন্য সদস্যরা তাকে কমিটি থেকে বাদ দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সদর খান ঘোষণামূলক মামলা করতে পারে। আদালত ঘোষণা দিতে পারে যে সদর খান খোকসা পাইলট স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির বৈধ সদস্য। মওলানা সোবহান ওয়াক্ফ করা জামে মসজিদের মোতাওয়ালি্ল। তাকে বাদ দিয়ে বেআইনিভাবে মওলানা আশরাফকে মোতাওয়ালি্লর কাজ করানো হচ্ছে। মওলানা সোবহান ঘোষণামূলক মামলা করে আদালত থেকে ঘোষণা পেতে পারেন যে তিনিই প্রকৃত মোতাওয়ালি্ল। এ রকম হাজারো অন্যায় কাজের প্রতিকার ঘোষণামূলক মামলা করে আদালত থেকে পাওয়া যায়।
- আমরা স্বত্বের মোকদ্দমা বা টাইটেল স্যুটের কথা প্রায় সবাই জানি। স্বত্বের মোকদ্দমাও একধরনের ঘোষণামূলক মামলা। স্বত্ব নিয়ে গোলমাল থাকলে স্বত্বের মোকদ্দমা করতে হয়। আদালত বাদী বা বিবাদীর পক্ষে স্বত্বের ঘোষণা দিয়ে স্বত্বের মোকদ্দমার নিষ্পত্তি করতে পারে।
-
- নজীর কাকে বলে ? (What is Precedent) ?
- সকল আদালত দেশের বিধিবদ্ধ আইন দ্বারা বিচার কার্য পরিচালনা করবেন এটাই নিয়ম। কিন্তু অনেক সময় বিচার কার্য পরিচালনা করতে গিয়ে আদালত এমন সমস্যার সম্মুখিন হন যে, মামলার বিচার্য বিষয় আইনের এমন বিধান সমূহকে স্পর্শ করে যার দ্বারা সটীক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। এই ক্ষেত্রে আদালত, ইতি পুর্বে অনুরুপ সমস্যা সমাধানে দেশ বা বিদেশের উচ্চ আদালতের গৃহীত সিদ্ধান্তকে অনুসরণের মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি করেন। একটি মামলায় সিদ্ধান্ত গ্রহনে আদালতকে অনেক বিষয় বিবেচনায় আনতে হয় এবং এই সিদ্ধান্তগুলি পরবর্তী সময়ে দৃষ্ঠান্ত হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
- নজীর বলতে পুর্ববর্তী মামলায় উচ্চ আদালত কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তকে বুঝায় যা পরবর্তী সময়ে অনুরুপ মামলার বিচারকার্যে অনুসরণ করা হয়। উচ্চ আদালত বলতে হাইকোর্ট বিভাগ ও আপীল বিভাগকে বুঝায়। উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অন্য আদালতের অনুসরণের যুক্তি হল যে একি রকম মামলায় যেন ভিন্য ভিন্য সিদ্ধান্ত না আসে। আর এই কারণে নজীর অনুসরণ করা আদালত সমূহের উপর সংবিধান দ্বারা বাধ্যকর করা হয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের গৃহীত সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের উপর এবং হাইকোর্ট কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত সকল আদালতের উপর বাধ্যকর।
- নজীর অনুসরণের ফলে যেমন একি রকম মামলায় বিভিন্য রকম সিদ্ধান্ত আসেনা তেমনি বিধিবদ্ধ আইনের পাশাপাশি বাধ্যকর একটি রীতি হিসাবে নজীর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
-
Khatiyan a document of rights in land. The bengal tenancy act, 1885 had recognised rights over land held by various interests, such as, landholders, tenureholders and raiyats. Internally, each of these interests constituted composite groups of sub-interests, each of whom had some rights in land. In the absence of definite records about these rights and sub-rights, courts of justice were in confusion as to who owned what and how. There was no recorded and legally recognised code and record of rights before the Bengal Land Tenancy Act of 1885. Legally, politically, and socially such a situation was a real obstacle to good governance. To remove the confusion, the Bengal Tenancy Act of 1885 defined the rights and obligation of all interests in land and provided for a thorough survey of land rights in the country so as to prepare a series of permanent land records called Record of Rights for the holders of land on the one hand and government and the courts of justice on the other.
- The Survey and Settlement Operations of Bengal districts began successively from 1886 with Pargana Roushanabad (part of Comilla) and Pargana Dakhin Shahbazpur (Bhola). The main objective of the survey was to prepare a plot-to-plot survey and settlement on direct identification of the holder of the plot. The document is commonly known as a khatiyan or details of right. The khatiyan gives the plot (chak) holder's name and his father's name, nature of right, nature of the tenancy, area of the plot and amount of rent. A map was prepared for every Mouza. Such a map contained all the plots marked with individual numbers. Every khatiyan has a number. All the khatiyans of a Mouza are kept according to serial number in a bound volume that is preserved in the Collectorate Record Room and Judge Record Room and also in the Tahsil (rent collection office) for reference. The holder of each plot has a right to get a certified copy of the khatiyan.
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর (ডিএলআরএস'র)
- বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের (1885) অধীনে ভূমির মালিকানা সম্পর্কিত খতিয়ান প্রণয়ন কাজ পরিচালনার লক্ষ্যে বোড অব রেভিনউ এর নিয়ন্ত্রণাধীনে ‘ভূমি রেকড ও কৃষি’ নামে দপ্তর সৃষ্টি করা হয়। পরবর্তীতে 1888 সালে ‘ভূমি রেকড দপ্তর’ নামে একটি স্বতন্ত্র দপ্তর গঠন করা হয়। তখন জরিপ কাজ সার্ভে অব ইন্ডিয়া নামে পৃথক দপ্তরের ওপর ন্যস্ত ছিল।1919 সালে জরিপের কাজ ভূমি রেকড দপ্তরের ওপর ন্যস্ত হওয়ায় ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর হিসেবে গড়ে উঠে। 1947 সালের পর অস্থায়ীভাবে বরিশাল জেলার ‘বাউন কম্পাউন্ডে’ জরিপ বিভাগের অফিস স্থাপন করা হয়। 1953 সনে টিপু সুলতান রোড হতে জরিপ অফিস বতমান স্থানে স্থানান্তর করা হয়। 1948 সালে দেশ বিভাগের পর সেটেলমেন্ট প্রেস অবিভক্ত ভারতের হুগলী হতে স্থানান্তরিত হয়ে 1948 সালে প্রথম রংপুর স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে 1960 সালে এটি ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। ভূমি জরিপ ও ভূমির মালিক/দখলদার সম্পর্কিত কাগজপত্র প্রণয়ন ভূমি ব্যবস্থাপনার একটি অপরিহার্য অঙ্গ।
- 2। ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরে কাযপরিধিঃ-
- ক) একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সমগ্র দেশ, কোন জেলা অথবা জেলার কোন অংশের স্বত্বলিপি এবং মৌজা ম্যাপ প্রস্তুত/সংশোধন করবার লক্ষ্যে ভূমি রেকড ও জরিপ পরিচালনার জন্য প্রকল্প প্রণয়ন এবং তার বাস্তবায়ন।
- খ) পর্যায়ক্রমে সমগ্র দেশের প্রতিটি মৌজার প্রতিটি ভূ-খন্ডের জরিপ করে ভূমি রেকড ও মৌজার ম্যাপ প্রস্তুত/সংশোধন করা।
- গ) দেশের প্রতিটি ভূমি মালিকের রেকড-অব-রাইটস বা স্বত্বলিপি (খতিয়ান) প্রণয়ন এবং মুদ্রনের কাজ।
- ঘ) দেশের প্রতিটি মৌজার, থানার, জেলার এবং সমগ্র দেশের ম্যাপ প্রস্তুত, মুদ্রণ এবং পুনমুদ্রণ করা।
- ঙ) মৌজা ম্যাপ প্রস্তুত করার জন্য থিওডোলাইট ট্রাভাস সার্ভের মাধ্যমে কন্টোল পয়েন্ট নির্ধারণ করা।
- চ) দেশের আন্তর্জাতিক সীমানা চিহ্নিত করা, সীমানা স্ট্রীপ ম্যাপ প্রস্তুত করা এবং তা মুদ্রণ করা।
- ছ) আন্তঃজেলা এবং আন্তঃথানা সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসককের কাডরগরী সহায়তা প্রদান করা।
- জ) জেলা/থানা পুনগর্ঠন সংক্রান্ত সরকারী প্রস্তাবে কারিগরী ও ভৌগলিক গ্রহণযোগ্যতার বিষয় নিরীক্ষা করা।
- ঝ) আন্তর্জাতিক ও আন্তঃজেলা সীমানা চিহ্নিতকরন। ক্যাডাস্টাল সার্ভে এবং ভূমি সংস্কার কাযক্রম সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারকে পরামশ প্রদান করা।
- ঞ) প্রতি বছর বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন/পুলিশ/বন) ক্যাডারসহ বিচারবিভাগীয় অফিসারগণেরসার্ভে ও সেটেলমেন্ট ট্রেনিং এর আয়োজন করা এবং ট্রেনিং প্রদান করা।
- 3। প্রশাসনিক কাঠামো
- 4। চলমান কাযক্রমঃ
- § এদেশে সর্ব প্রথম জরিপের কাজ শুরু হয় 1887 সালে Cadastral Survey (CS) এবং শেষ হয় 1940 সালে। এ জরিপই এখনো দেশের Record of Rights (ROR)
- § জমিদারী প্রথা উচ্ছেদের প্রেক্ষাপটে 1955 সালে State Acquisition Operation (SA) এর আওতায় রেকড প্রণয়নের কাজ শুরু হয় এবং 1962 সালে একাজ শেষ হয়। প্রকৃত প্রস্তাবে SA রেকড প্রস্ততকালে কোন সরজমিন জরিপ কাজ পরিচালিত হয়নি। জমিদারের আওতাধীন প্রজা/মালিকদের নামে মালিকানার স্বত্ব এবং খাস জমির তালিকা প্রস্তুত করাই ছিল এ জরিপের উদ্দেশ্য।
- § RS রেকডঃ CS জরিপ সমাপ্ত হতে দীর্ঘ 50 বছর সময় লাগে। এ সময়ের মধ্যে জমির প্রকৃতি ও মালিকানা পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে 1940 সনে বৃহত্তর ফরিদপুর ও বরিশাল জেলায় RS বা সংশোধনী জরিপ শুরু করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে বৃহত্তর ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া ও পাবনা জেলায় RS জরিপ সম্পন্ন করা হয়। ময়মনসিংহ জেলার RS কাযক্রম বতমানে সমাপ্তি।
- § 1984 সালে ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশ এর আওতায় দেশের সবকটি জেলায় জরিপ এর স্থায়ী কাঠামো স্থাপন এবং চলমান প্রক্রিয়ায় রেকর্ড হালকরণ (ক্রমাগত আপডেট হচ্ছে) এর লক্ষ্যে নিকার এর সিদ্ধান্ত মতে প্রাথমিকভাবে 10 টি (বগুড়া, রংপুর, বরিশাল, সিলেট, যশোর, খুলনা, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, নোয়াখালী ও কুমিল্লা) জেলার অফিসের মাধ্যমে জরিপ কাজ হাতে নেয়া হয়. পাশাপাশি একটি বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা শহর জরিপের কাজ হাতে নেয়া হয় যা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে.
- § বতমানে দেশের 10টি বৃহত্তর জেলার (সিলেট, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফরিদপুর, বরিশাল, যশোর, খুলনা রংপুর, বগুড়া এবং টাঙ্গাইল) জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের আওতাধীনে জরিপ কাজ চলছে।
-
খুব প্রারম্ভে জন্য, ভূমি প্রশাসন এই অঞ্চলে দেশের প্রশাসনের প্রধান বেস হিসাবে গণ্য করা হয়েছে. সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো জমি প্রশাসনের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত হয়. এটা দীর্ঘ ঐতিহ্য আছে. গত এ, ভূমি প্রশাসন মূলত ট্যাক্স সংগ্রহ ভিত্তিক প্রশাসন হিসাবে গণ্য করা হয়. এখন একটি দিন, ভূমি প্রশাসন শুধুমাত্র কর সংগ্রহ কিন্তু চালানো হবে, যা একটি দক্ষ প্রশাসনিক কাঠামো জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার মানে না
- 1772 সালে, "রাজস্ব বোর্ড" রাজস্ব প্রশাসন চালানোর জন্য স্থায়ী কেন্দ্রীয় সংস্থা হিসাবে নির্মিত হয়েছিল. এর পরে, উদ্যোগ ভূমি ব্যবস্থাপনা প্রশাসন কাঠামো শক্তিশালী করতে কমিশনার সংগ্রাহকের পোস্ট এবং রাজস্ব বোর্ড গঠনের তৈরি করতে নিয়ে যাওয়া হয়.
- স্বাধীনতা লাভের পর 1972 সালে, "রাজস্ব বোর্ড" বিলুপ্ত করা হয় এবং বোর্ডের সব কার্যক্রম ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার তারপর মন্ত্রণালয় ন্যস্ত করা হয়. পর্যবেক্ষণ এবং মাঠ পর্যায়ে রাজস্ব অফিস পরিদর্শন দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের (অন্যান্য চার জেলা ভূমি সংস্কার কমিশনার সহ যুগ্ম সচিব অবস্থা যারা ছিল ভূমি সংস্কার কমিশনার তত্ত্বাবধানে, যা ছিল ভূমি মন্ত্রণালয় এর গরূৎ "ভূমি সংস্কার কমিশনার অফিস" উপর ন্যস্ত ছিল সচিব স্তর).
- এই ব্যবস্থাপনা সিস্টেম, বিশাল কাজের চাপের কারণে আবহ মাঠ পর্যায়ে ভূমি প্রশাসন ও আপীল নিষ্পত্তির প্রধান কার্যক্রম এর পাশে ভূমি মন্ত্রণালয় তৈরি করা হয়েছে. এই কারণে, প্রয়োজনীয়তা "রাজস্ব বোর্ড" মত একটি বোর্ড জন্য aroused হয়. পরে যে, এই বিষয়টি জাতীয় সংসদ এবং ভূমি প্রশাসন বোর্ড আইন এ উত্থাপিত হয়েছিল. 1980 পাস হয়. ভূমি প্রশাসন বোর্ডের কার্যকলাপ 1982 এর শেষ পর্যায়ে শুরু হয়
- জাতীয় ভূমি সংস্কার কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে, একটি পৃথক শরীর, যথা, ভূমি সংস্কার বোর্ড, ভূমি সংস্কার বোর্ড আইন 1989 (1989 সনের XXIII) অধীনে জাতীয় পর্যায়ে গঠিত হয়.
- এই অধ্যাদেশ জাতীয় সংসদ এবং 31 মে, 1989 সালে পাস হয় যে পরে, এটি মাননীয় রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করেন এবং ভূমি সংস্কার 1989 (1989 সনের XXIII) আইন হিসাবে চিহ্নিত করা হবে.
- সাংগঠনিক কাঠামো
- ভূমি সংস্কার বোর্ড আইন, 1989 (1989 সনের XXII) অনুযায়ী, প্রধান বোর্ড 1 (এক) চেয়ারম্যান এবং 2 (দুই) সদস্য (অতিরিক্ত সচিব পদে) নিয়ে গঠিত হয়. এই পাশে, 3 (তিন) উপ ভূমি সংস্কার কমিশনার (উপসচিব পদে), 7 (সাত) সহকারী ভূমি সংস্কার কমিশনার (সিনিয়র সহকারী সচিব পদে) এবং 48 (চল্লিশ আট) বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের আছে. কর্মকর্তা মোট সংখ্যা (সব বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার অফিসার) কর্মচারী 61 5 (পাঁচ) বিভাগ (ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী), সব মধ্যে যারা 5 (পাঁচ) বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তা আছে ইন উপসচিব পদে এবং তাদের প্রতিটি 3 (তিন) কর্মীরা সঙ্গে মাঠ পর্যায়ে তাদের দায়িত্ব পালন
- ক্রিয়াকলাপ
- 1 তত্ত্বাবধান এবং বিভাগীয় পর্যায়ে জেলা ভূমি সংস্কার কমিশনার এর অফিসের কার্যক্রম নিরীক্ষণ করার জন্য
- 2 ভূমি মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সম্পর্কিত কর্মকর্তা ভূমি উন্নয়ন কর মাসিক বিবৃতি পাঠাতে.
- 3 এই অফিসের জন্য বাজেট জমি সব মাঠ পর্যায়ের অফিস সময়ে প্রশাসন সম্পর্কিত উপার্জন এবং প্রস্তুতকরণ এবং বরাদ্দ তত্ত্বাবধান.
- 4 দুই এস্টেট কার্যক্রম নিরীক্ষণ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট পাঠাতে.
- উপজেলা / জেলা / বিভাগীয় পর্যায়ে সমস্ত আয় অফিসে কম্পিউটারের জন্য তহবিল 5 অনুমোদন.
- অকৃষি জমি সংক্রান্ত 6 ক্রিয়াকলাপ.
- মানুষ মাত্রই কোন না কোন ভাবে ভূমির উপর নিভরশীল। তন্মধ্যে আমাদের কৃষি নিভরশীল দেশে ভূমির গুরুত্ব আরও বেশী। ক্রমাগত জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে সংকট দিনদিন প্রকটতর হচ্ছে। বিভিন্ন কারণে এদেশে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমি আইনের জটিলতা আবহমান কাল ধরে চলে আসছে। তদানীন্তন ভারতের অংশ হিসাবে এদেশে সব প্রথম 1786 সালে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমি রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক “বোড অব রেভিনিউ” গঠিত হয়। পরবর্তীতে এই বোডের অধীনে সিভিল সার্ভিস সদস্যরা রাজস্ব বিষয়ক নীতি নির্ধারণ, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিভিন্ন আইনকানুন প্রণয়ন করতেন এবং বোড অব রেভিনিউর পরামশ গ্রহণ করতেন। তখন বোর্ডের প্রধান কাজ ছিল রাজস্ব প্রশাসন সম্পর্কে কালেক্টর এর কার্যাবলী তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করা।
- 1793 সালে চিরস্থায় বন্দোবস্ত আইন প্রণয়নের ফলে রাজস্ব প্রশাসনে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। তখন জমিদারী প্রথান, নওয়াব, রাজা ও মহারাজাদের কাযক্রম 1793 সনের স্থায়ী প্রজাস্বত্ব রেগুলেশন মতে নিয়ন্ত্রিণ হতো। যাবতীয় রাজস্ব সংক্রান্ত মামলার ট্রাইবুনাল হিসাবে বোড অব রেভিনিউ কাজ করতো। কিন্তু রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন-1950 বহালের পর কিছু কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া রাজস্ব বিষয়ক প্রায় সকল আইন বাতিল হয়। এছাড়া 25 বিঘা পযন্ত খাজনা মওকুফ ও হাট-বাজার ইজারা তারিখ/সন প্রদান পদ্ধতি ভিন্নতর হওয়ায় বোড অব রেভিনিউর গুরুত্ব, কম বিবেচিত হওয়ায় এবং পরবর্তীতে মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ নির্বাহী দায়িত্ব পালনের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় “বোড অব রেভিনিউ” বিলুপ্ত ঘোষিত হয়।
- পরবর্তীতে ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় জটিলতা নিরসনকল্পে 1980 দশক অনুরূপ বোর্ডের প্রয়োজনীয় দেখা দেয়ায় 1981 সনের 13 নং আইন প্রবতনের মাধ্যমে “ভূমি প্রশাসন বোড” সৃষ্টি করা হয়।
- 2। ভূমি আপীল বোড প্রতিষ্ঠাঃ-
- ভূমি আপীল বোড দেশের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির সর্বোচ্চ আদালত। এর কাজ কোয়াশী জুডিশিয়াল প্রকৃতির। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব মামলার আপীল/রিভিশন দ্রুত নিস্পত্তির লক্ষ্যে 1989 সনের 24নং আইনের মাধ্যমে ভূমি আপীল বোড সৃষ্টি হয়।
- 3। ভূমি আপীল বোর্ডের গঠন, অবস্থান ও জনবলঃ
- গঠনঃ
- ভূমি আপীল বোড আইন, 1989 এর 4 ধারা অনুযায়ী 1 জন চেয়ারম্যান ও 2 জন সদস্যের সমন্বয়ে ভূমি আপীল বোড গঠিত হয়।
- অবস্থানঃ
- ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ 2য় 13 তলা সরকারী ভবনের 8ম তলায় ভূমি আপীল বোড অবস্থিত।
- জনবলঃ-
- ভূমি আপীল বোর্ডে সরকারের সচিব পদমর্যাদার 1 জন চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার 2 জন সদস্য রয়েছে। এছাড়া বোর্ডের 1 জন সচিব (সরকারের উপ-সচিব), 5 জন শাখা প্রধান (সিনিয়র সহকারী সচিব/সহকারী সচিব), ১ জন লাইব্রেরীয়ান এবং 38 জন 3য় ও 4থ শ্রেণীর কর্মচারীসহ সবমোট 48 জন কমকর্তা/কমচারী এর সাংগঠনিক কাঠামোভূক্ত।
- 4। ভূমি আপীল বোর্ডের কাযাবলীঃ-
- ভূমি আপীল বোর্ডের কার্যাবলী ভূমি আপীল বোড আইন 1989, ভূমি আপীল বোড (সংশোধন) আইন 1990 এবং ভূমি আপীল বোড বিধিমালা 1990 অনুযায়ী পরিচালিত ও সম্পাদিত হয়। ভূমি আপীল বোড বিধিমালা-1990 দ্বারা ভূমি আপীল বোর্ডের কাযবলী ও কাযপদ্ধতি বিধৃত করা হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ভূমি বিষয়ক সমুদয় আইনের অধীনে ভূমি আপীল বোর্ড নিম্নবর্ণিত বিষয়ে আপীল/রিভিশন মামলা নিস্পত্তি করেঃ
- ক) ভূমি সংক্রান্ত মামলা (রাজস্ব সম্পকীয়)
- খ) নামজারী ও খারিজ মামলা
- গ) সায়রাত ও জলমহাল সংক্রান্ত মামলা
- ঘ) ভূমি রেকড সম্পর্কিত মামলা
- ঙ) ভূমি উন্নয়ন কর সার্টিফিকেট মামলা
- চ) খাস জমি বন্দোবস্ত সংক্রান্ত মামলা
- ছ) পি,ডি,আর এর আওতায় দায়েরকৃত রিভিশন বা আপীল মামলা
- জ) অর্পিত, পরিত্যক্ত ও বিনিময় সম্পত্তি বিষয়ক মামলা
- ঝ) ওয়াকফ/দেবোত্তর সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা (উক্ত সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা
- ও প্রশাসনিক বিষয় ব্যতিত)
- ঞ) সরকার কর্তৃক ন্যস্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন;
- ট) অধঃস্তন ভূমি আদালত সমূহের কাযক্রম পরিদশন, অনুবীক্ষণ ও মূল্যায়ন;
- ঠ) ভূমি সংক্রান্ত আইন, আদেশ ও বিধি সম্পর্কে সরকার কর্তৃক প্রেরিত
- বিষয়াদিতে পরামর্ দান।
- । প্রযোজ্য আইন ও বিধিবিধানঃ
- ভূমি আপীল বোড আইন 1989
- ভূমি আপীল বোড (সংশোধন) আইন 1990
- ভূমি আপীল বোড বিধিমালা 1990
- ভূমি, ভূমি রাজস্ব ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ভূমি বিষয়ক সমুদয় আইন, বিধিমালা, সার্কুলার, পরিপত্র, আদেশ ইত্যাদি।
- ভূমি আপীল বোর্ডের কায পদ্ধতিঃ
- নিম্নআদালত তথ্য বিভাগীয় কমিশনার ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) এর আদালতে নিস্পত্তিকৃত মামলার আপীল ও রিভিশন শুনানী ও নিস্পত্তি;
- চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ কর্তৃক পৃথক ও এককভাবে পক্ষগণকে শুনানীক্রমে আপীল/রিভিশন এবং পুনর্বিবেচনার আবেদননের উপর মামলা নিস্পত্তি;
- বিভাগভিত্তিক অধিক্ষেত্র নির্ধারণপূবক চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব প্রদান;
- বোর্ডের আদেশের পুনর্বিবেচনা, আইনগত জটিলতা, আইনের ব্যাখ্যার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে চেয়ারম্যান কর্তৃক বিষয়টি ফুল বোর্ডে উপস্থাপনের আদেশ প্রদান;
- চেয়ারম্যান ও 2 জন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত ফুলবোর্ডে শুনানী গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদান।
- অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব), জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজস্ব সংক্রান্ত আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শন ও মূল্যায়ন;
- ভূমি আপীল বোর্ডের মাসিক সমন্বয় সভায় নিম্ন আদালতের নিস্পত্তিকৃত বিবরণী পর্যালোচনা, মূল্যায়ন ও পরামশ প্রদান।
- লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
- বাদী/বিবাদী উভয় পক্ষের শনানী গ্রহণ ও দলিলপত্র পরীক্ষা পূর্বক বিরোধ নিস্পত্তির আদেশ প্রদান।
- খ) যথা সম্ভব কম শুনানীর দিন ধায করে স্বল্প সময়ে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচারিক সুবিধা প্রদান
- ) মামলা নিষ্পত্তির পর স্বল্পতম সময়ে বাদী/বিবাদীকে রায়ের কপি প্রদান
- ঘ) দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে আগত নিরীহ জনগণের ভোগান্তি লাঘব করা।
- 8। মামলা পরিচালনা পদ্ধতিঃ
- মামলার শুনানী কাযক্রম অনেকটা দেওয়ানী আদালতের ন্যায়
- বাদী/বিবাদী উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য নোটিশ জারী
- নিম্ন আদালতের নথিপত্র আনায়নক্রমে উভয়ন পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানী গ্রহণ
- শুনানীকালে বিজ্ঞ কৌশলীগণের অংশগ্রহণ এবং মতামত
- দলিলপত্র পরীক্ষা করা এবং আদেশ প্রদান
- মামলার আদেশ দানের পর বাদী/বিবাদী কর্তৃক রিভউ/ফুলবোর্ড করার সুযোগ প্রদান
- দেওয়ানী আদালতেরও যে কোন পর্যায়ে বিচার প্রাথী হওয়ার সুযোগ।
- বোর্ড আপীল/আরজি দায়েরের নিয়মাবলী
- নিম্ন আদালতের আদেশের সার্টিফাইড কপিসহ আবেদনকারীকে নিজে অথবা আইনজীবির মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
- আবেদনের উপর 20 (বিশ) টাকার কোট ফি প্রদান।
- গ) ওকালতনামার উপর 20 (বিশ) টাকা মুল্যের কোট ফি প্রদান।
- রিভউ করার প্রক্রিয়াঃ
- চেয়ারম্যান/সদস্য মহোদয়গণের আদেশের বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনার (রিভউ) আবেদন করতে হলে আপীল আদেশে যে আইনগত ও তথ্যগত বিষয়াবলী বিবেচনায় আনা হয়নি তা সম্পূর্ণভাবে উল্লেখ পূর্বক পুনর্বিবেচনার ি(রিভউ) আবেদন ঐ আদালতে দাখিল করতে হবে।
-
বাংলাদেশে প্রযোজ্য সম্পত্তি হস্তান্তর (সংশোধন) আইন ২০০৪ এর ৫৪এ ধারা অনুসারে অস্থাবর সম্পত্তির বিক্রয় চুক্তি হবে লিখিত ও রেজিস্ট্রিকৃত। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার (সংশোধন) আইন ২০০৪ এর ২১এ ধারার বিধান অনুসারে আদালতের মাধ্যমে চুক্তি বলবতের দুই শর্ত হলোঃ
- লিখিত ও রেজিস্ট্রিকৃত বায়না ব্যতীত চুক্তি প্রবলের মামলা আদালতের মাধ্যমে বলবৎ করা যাবে না।
- বায়নার অবশিষ্ট টাকা আদালতে জমা না করলে মামলা দায়ের করা যাবে না।